বিজয়িনী: একা আন্টার্কটিকা সফরকালে প্রীত চণ্ডী
ওয়েবসাইট ও সমাজমাধ্যমে নিজের পরিচয় দিয়েছেন ‘পোলার প্রীত’। পুরো নাম প্রীত চণ্ডী। ৩২ বছরের এই ব্রিটিশ শিখ তরুণী সম্প্রতি ইতিহাস গড়লেন। জাতিগত ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা হিসাবে দক্ষিণ মেরুতে একক অভিযান সম্পূর্ণ করলেন প্রীত। ব্রিটিশ সেনার ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট, ক্যাপ্টেন পদাধিকারী এই তরুণী কী কাণ্ড করতে চলেছেন, তাঁর বৃহত্তর পঞ্জাবি পরিবার প্রথমে নাকি বুঝতেই পারেনি। প্রীত বলেছিলেন, ‘সাউথ পোল’-রওনা দেওয়ার আগে মন্দিরে যাচ্ছেন, পরিবারের লোকে ভেবেছিলেন, ‘সাউথল’ যাচ্ছেন। পশ্চিম লন্ডনের এই এলাকাটিতে বহু শিখের বসবাস, গুরুদ্বারও আছে। প্রীত খোলসা করেন, দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছেন!
অভিযানের আগে ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছিলেন, মেয়েদের জন্য যে গ্লাস সিলিং রয়েছে সর্বত্র, তিনি তাকে গুঁড়িয়ে দিতে চান। ২৪ নভেম্বর বিমান তাঁকে বরফঢাকা আন্টার্কটিকায় নামিয়ে দিয়ে ফিরে যায়। তার পরই তিনি একা। মাত্র ৪০ দিনে ৭০০ মাইল স্কি-র সাহায্যে অতিক্রম করেছেন। বলেছেন, “গাত্রবর্ণ নিয়ে ভাবিনি কখনও। তবে বড় হয়ে বুঝেছি, নিজের জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব জরুরি।” ধর্মবিশ্বাসী নন। সংস্কৃতির দিক দিয়ে নিজেকে ভারতীয় পঞ্জাবি ও শিখ বলেন। আর্মিতে যোগ দিয়ে অভিযানের দুনিয়ার সন্ধান পান। ট্রেকিং, হাইকিং শুরু করেন, ২০ বছর বয়সে প্রথম বার হাফ-ম্যারাথনে দৌড়ান। বলেছেন, “ভারতীয় মেয়ে হিসাবে অপ্রত্যাশিত কিছু করতে পেরে গর্বিত আমি।”
রসিক সে জন
লন্ডনের স্ট্র্যান্ডে সাধারণ মুদি দোকান। সস্তার লাঞ্চ মেলে। কিন্তু, ডাউনিং স্ট্রিটের সুরার আসরগুলির সুবাদে আলোচনার মধ্যমণি এই সমবায়িকা-বিপণি। ২৪ ঘণ্টাই খোলা, ওয়েস্টমিনস্টার থেকে হাঁটাপথের দূরত্ব। ২১ এপ্রিলের পার্টির জন্য কর্মীরা দোকানটি থেকে সুটকেসে ভরে মদ এনেছিলেন, খবর ছড়াতেই সংবাদমাধ্যম বিপণিটির মদের তাক খুঁটিয়ে দেখেছে। যে দোকানে ২.৯৯ পাউন্ড দামের স্যান্ডউইচ মেলে, তার মদের তাকগুলোয় মহার্ঘ সব সুরার সম্ভার! দারুণ সব রেড ও হোয়াইট ওয়াইনের মধ্যে আছে শ্যাতোনফ-দু-পপ এবং বারোলো-র কুড়ি পাউন্ড দামের বোতল। একটি অংশ শ্যাম্পেনের জন্য বরাদ্দ, সেখানে আছে বোল্যাঁজে-র ৪৫ পাউন্ড দামের বোতলও। দোকানকর্মীরা নাকি শুক্রবারের বিকেল বা সন্ধ্যায় স্যুট পরিহিত নারী-পুরুষদের প্রায়শই প্রচুর মদ কিনতে দেখেন। দোকানে চিজ়ও মজুত, যা ডাউনিং স্ট্রিট পার্টির আর এক অপরিহার্য অঙ্গ। দোকানটি গুগলে প্রচুর মজাদার রিভিউ পাচ্ছে। কেউ লিখেছেন, ‘ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টির নেমন্তন্ন পেলে যেখান থেকে সুটকেসে বোঝাই করে মদ নিয়ে যাওয়া যাবে’, কারও মন্তব্য, ‘লকডাউন পার্টির জন্য মদ কেনার জায়গা’, ‘...এই দোকানেই গিয়েছিলাম, প্রিন্স ফিলিপের পারলৌকিক কাজের আগের দিনে...’ ইত্যাদি।
সব দেখছেন সু গ্রে
সকলেই সু গ্রে-র দিকে তাকিয়ে। প্রবীণ এই আমলাকে ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিগুলির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। সু যখনই একটা পার্টির তদন্ত প্রায় শেষ করে আনেন, তখনই আরও একটা পার্টির খবর বেরোয়, কাজের লিস্টি বাড়তেই থাকে। আমজনতা তাঁকে তেমন না চিনলেও, সরকারি বৃত্তে তিনি বেশ পরিচিত। তাঁর তদন্তের ফলে অনেক মন্ত্রীকেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। সু ছ’বছর সরকারের প্রপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিম-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এক প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছিলেন, সু-ই আসলে দেশ চালান। তাঁর সম্মতি ভিন্ন কিছুই হয় না। সহকর্মীরা বলেছিলেন, সু এত দিন ধরে আছেন— কে কবে কোথায় কতখানি ঘোঁট পাকিয়েছেন— সবই জানেন।
নজরে: পার্টির তদন্তের তত্ত্বাবধানে সু গ্রে
প্ল্যাটিনাম পুডিং
রানির প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর জন্য উপযুক্ত পুডিংয়ের খোঁজে প্রতিযোগিতা হবে। আট বছরের ঊর্ধ্বে ব্রিটেনের সব বাসিন্দাকেই অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। রাজবাড়ির জন্য আগেও স্মরণীয় খাবার সৃষ্টি হয়েছে। রানি ভিক্টোরিয়ার জন্য তৈরি ভিক্টোরিয়া স্পঞ্জ কেক আজও জনপ্রিয়। ১৯৫৩-য় দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের রাজ্যাভিষেকের সময়ের করোনেশন চিকেন এখনও স্যান্ডউইচের ফিলিং রূপে চলছে। বিশের দশকে রাজবাড়ির বড়দিনের মিষ্টান্নের সব উপাদান উপনিবেশগুলি থেকে এসেছিল। দারুচিনি ছিল ভারতের, লবঙ্গ জাঞ্জিবারের। এ বারের পদটি কি ‘কমনওয়েলথ পুডিং’ হবে?