Two Finger Test

শীর্ষ আদালতের রায় আশা দেখাচ্ছে, এ বার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বিদায় নিশ্চিত হোক!

কোনও নারী ‘ভার্জিন’, না কি তিনি ‘সক্রিয় যৌনজীবনে অভ্যস্ত’, তা নিশ্চিত করতেই এই পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

মহুয়া মৈত্র

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫১
Share:

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দেশে প্রতি দি‌ন ৮৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। সরকারি এই পরিসংখ্যানটা বছরখানেকের পুরনো। ২০২১ সালের সেই পরিসংখ্যানে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল আরও এক হিসাব। যে অঙ্ক বলছে, তার আগের বছরের তুলনায় ২০২১ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০ শতাংশ বেশি!

Advertisement

কিন্তু তাতে কী! আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করে রেখেছি, যার ফলে নির্যাতিতাদের বেশির ভাগই অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে এগোতে চান না। কারণ, অভিযোগ জানাতে গেলেই তাঁদের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। যার অন্যতম ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’।

ধর্ষণ হয়েছে কি হয়নি, তা ‘নির্ণয়’ করার এই পরীক্ষাটি অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু দেশ জুড়ে তার আকছার অনুশীলন হয়ে চলেছে। কোনও নারী ‘ভার্জিন’, না কি তিনি ‘সক্রিয় যৌনজীবনে অভ্যস্ত’, তা নিশ্চিত করতেই এই পরীক্ষা। ভাবখানা এমন, যেন সক্রিয় যৌনজীবনে অভ্যস্ত কোনও নারী ধর্ষিতা হতেই পারেন না!

Advertisement

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ ধর্ষণ হয়েছে কি না, তার প্রমাণ পেতে নির্যাতিতার ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে রায় দিয়েছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে ওই রায় দিয়েছে আদালত। ঝাড়খণ্ড সরকার ও শৈলেন্দ্রকুমার রাই পাণ্ডবের ওই মামলায় দুই বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ একেবারেই বেআইনি! এই রায়ের পর যদি কেউ কোনও নারী ধর্ষিত হয়েছেন কি না তা জানতে এই পরীক্ষা করেন, তবে তাঁকে আদালতের নির্দেশ না-মেনে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঐতিহাসিক এবং আশাব্যঞ্জক বলে আমি মনে করি (পাশাপাশি এমনও মনে করি যে, এর ফলে আমাদের দেশের নির্যাতিতারা তাঁদের উপর নির্যাতনের কথা বলতে এগিয়ে আসবেন)। কারণ, কোনও নারী ‘ভার্জিন’ কি না অর্থাৎ, তাঁর সতীচ্ছদ হয়েছে কি না, তা বোঝার নির্ভরযোগ্য উপায় কোনও ভাবেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ হতে পারে না। কারণ, মহিলাদের ‘হাইমেন’-এর আকার পরিবর্তিত হয়। কারও ‘হাইমেন’-এর স্থিতিস্থাপকতা যথেষ্ট হলে সঙ্গমের পর তা আগের আকারে ফিরে আসতেই পারে। আদালতের একাধিক রায়ে বলা হয়েছে এই পরীক্ষা ‘অসাংবিধানিক’। ফৌজদারি আইন সংস্কার করেও এই পরীক্ষাকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ‘মেডিকো লিগ্যাল পরিকাঠামো’ সংস্কারের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত গাফিলতি থাকায় এখনও যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ‘সত্যতা’ প্রমাণের ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ হয়েই চলেছে!

বস্তুত, নারীবাদীরা দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ করে আসছে‌ন, ধর্ষণের ‘সত্যতা’ প্রমাণের ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করাতে গিয়ে কোনও মহিলা আরও এক বার যৌন হিংসার শিকার হন। কারণ, তাঁর যোনিপথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দু’টি আঙুল প্রবেশ করিয়ে সেখানকার মাংসপেশির শৈথিল্য পরীক্ষা করেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারিণীকে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা তাঁদের মেডিকো লিগ্যাল শংসাপত্রে ‘কেস হিস্ট্রি’র সঙ্গে অভিযোগকারিণীর বয়স এবং আঘাতের বিবরণ লেখেন। সেখানে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর রিপোর্টে লেখা থাকে ‘পার ভ্যাজাইনা টু ফিঙ্গার্স বিবেচ্য’ বা ‘পার ভ্যাজাইনা টু ফিঙ্গার্স অবিবেচ্য’।

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ অভিযোগকারিণীর পক্ষে অসম্মানজনক, বলেছে শীর্ষ আদালত। —ফাইল চিত্র।

দেশের শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ওই পরীক্ষা অভিযোগকারিণী মহিলার পক্ষে অসম্মানজনক। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ক্ষেত্রে আদ্যিকালের এই আক্রমণাত্মক পরীক্ষার অনুশীলনকে আদালত বার বার অবজ্ঞা করেছে। তথাকথিত ওই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শুধু তা-ই নয়, ওই পরীক্ষায় ধর্ষণের সত্যতা কোনও ভাবেই প্রমাণিত বা অপ্রমাণিত হয় না। উল্টে কোনও মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকলে ওই পরীক্ষায় তিনি আবারও যৌন নিপীড়নের শিকার হন। নির্যাতনের সেই ‘ট্রমা’ তাঁকে সহ্য করতে হয় আবার। সেটা ওই মহিলার আত্মসম্ভ্রমের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক।’’

শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, ‘‘টু ফিঙ্গার টেস্ট কোনও ভাবেই করা যাবে না...। তথাকথিত এই পরীক্ষা একটি ভুল ভাবনার উপর নির্ভরশীল। যে ভাবনা বলে, সক্রিয় যৌনজীবন রয়েছে, এমন নারী ধর্ষিত হতে পারেন না! আসল কথা হল, অভিযুক্ত তাঁকে আদৌ ধর্ষণ করেছে কি না, তা বিচার করতে গিয়ে ওই নারীর যৌনজীবনের ইতিহাস জানা একেবারেই অমূলক। শুধু তা-ই নয়, এ বিষয়ে এক জন নারীর সাক্ষ্যের সম্ভাব্য মূল্য কোনও ভাবেই তাঁর যৌনজীবন যাপনের ইতিহাসের উপর নির্ভর করে না। কোনও নারীর নিজেকে ‘ধর্ষিত’ বলার দাবিকে যদি অবিশ্বাস করা হয় শুধুমাত্র এই কারণে যে, তাঁর একটা ‘সক্রিয় যৌনজীবন’ রয়েছে, তা হলে তার মতো পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতামুখর মনোভাব আর হয় না।’’

কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলিকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে—

১) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক প্রণীত নির্দেশিকাগুলি সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জানানো নিশ্চিত করতে হবে।

২) যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা ঠিক কোন কোন পদ্ধতিতে করা হবে, সে সম্পর্কে তাঁদের অবগত করা প্রয়োজন। সে কারণে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।

৩) মেডিক্যাল কলেজের পাঠ্যক্রমও পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। যাতে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ‘সত্যতা’ প্রমাণের অন্যতম পদ্ধতি হিসাবে কোনও ভাবেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’-এর উল্লেখ না থাকে।

ধর্ষণের ‘সত্যতা’ প্রমাণের ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করাতে গিয়ে কোনও মহিলা আরও এক বার যৌন হিংসার শিকার হন। —ফাইল চিত্র।

ইতিহাস বলছে, স্যর ম্যাথু হেল নামে সপ্তদশ শতাব্দীতে এক প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ছিলেন। যে আইন ও আইনশাস্ত্র ধর্ষণের মামলার বিচারপ্রক্রিয়াকে ঘিরে রেখেছে, তা আদতে ম্যাথুর দ্বারা বিপুল ভাবে প্রভাবিত। ম্যাথু এক জন নারীর চরিত্র এবং তাঁর পূর্ব যৌন অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে অভিযোগকারিণী এক জন ‘অবিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী’ হিসাবেই বিবেচ্য হতেন। যেখানে নির্যাতিতা নারীর আচরণ, চরিত্র এবং শরীর যাচাই করা হত শুধুমাত্র তাঁর অভিযোগের সমর্থন খুঁজতে। বস্তুত, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের মধ্যে লুকিয়ে-রাখা জালিয়াতি বা মিথ্যার লক্ষণ যাচাই করতেই ওই পরীক্ষাগুলির উদ্ভাব‌ন।

‘টুফিঙ্গার টেস্ট’ সেই দুই বিশ্বাসের মিশ্র ফসল। ঔপনিবেশিক ভারতের মাঠে সেই ফসলের চাষ শুরু হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে। ধর্ষণের মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় ওই পরীক্ষার সূত্রপাত এমন ভাবে হয়েছিল, যেন সেটি অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত এক অনুশীলন। সেই অনুশীলন এখনও প্রচলিত। যা ঔপনিবেশিক আইনশাস্ত্রের প্রভাবের পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের ‘আদর্শ শিকার’ সম্পর্কে আমাদের চেতনার গভীরে প্রোথিত ধারণার সাক্ষ্য বহন করে।

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী কোনও ভাবেই ‘যৌনজীবনে অভ্যস্ত’ হতে পারেন না, এই ধারণার কথা বার বার শোনা যায়। চিকিৎসা সংক্রান্ত আইনশাস্ত্র বা মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষার জন্য প্রচুর পাঠ্যবই রয়েছে। যেমন, মোদীর ‘আ টেক্সটবুক অফ মেডিক্যাল জুরিসপ্রুডেন্স অ্যান্ড টক্সিকোলজি’। কোনও মহিলার আনা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা কি না, তা নিশ্চিত করতে এবং তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝাতে গিয়ে বেশির ভাগ বইয়েই ‘প্রতিরোধের লক্ষণ’ অথবা ওই নারী ‘যৌনজীবনে অভ্যস্ত’ কি না, তা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের শেষের দিকে মোদীর ওই বই-সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত আইনশাস্ত্রের অন্যান্য পাঠ্যপুস্তকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সমকামী বা রূপান্তরকামীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে নির্যাতিতের ‘পায়ু পরীক্ষা’ করতে হবে। সেই পরীক্ষাতেই বোঝা যাবে নির্যাতিত আদতে ‘নিশ্চিত পায়ুকামী’ না কি তিনি ‘পায়ুকামে অভ্যস্ত’!

২০১৩ সালের ফৌজদারি আইন (সংশোধিত) এবং ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৫৩-এ ধারা অনুযায়ী যৌন অত্যাচারের মামলায় কোনও নারীর চরিত্রগত প্রমাণ এবং তাঁর পূর্ব যৌন অভিজ্ঞতা কিছুতেই প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়াও ‘পেনো-ভ্যাজাইনাল পেনিট্রেটিভ যৌন নিপীড়ন’-এর বাইরেও ধর্ষণের সংজ্ঞা আরও প্রসারিত করেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংশোধন।

‘মেডিকো লিগ্যাল সুরক্ষা, ২০১৪’য় যৌন নিপীড়নের শিকারদের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের নির্দেশিকা কোনও রাখঢাক রাখেনি। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘‘ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রমাণ বা অপ্রমাণের ক্ষেত্রে প্রি-ভ্যাজাইনাম পরীক্ষা, যাকে আইনের লোকজন ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ বলে উল্লেখ করেন, যেন না করা হয়।’’

সম্প্রতি কেরল সরকার ‘কেরল মেডিকো লিগ্যাল প্রোটোকল ফর এগ্‌জামিনেশন অফ সারভাইভার অফ সেক্সুয়াল অফেন্স ২০১৮’ পাশ করেছে। সেখানে বলা আছে, ‘‘যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ক্ষেত্রে নথিভুক্ত চিকিৎসকেরা ‘ভার্জিনিটি’ বা ওই ধরনের কোনও ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যেন কাজ না করেন।’’ শুধু তা-ই নয়, ওই ধারণার কোনও প্রভাব যাতে অভিযোগকারিণীর উপরে না পড়ে, সে কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ ও তার ব্যাখ্যা ধর্ষিতার গোপনীয়তা, শারীরিক ও মানসিক বিশুদ্ধতা আর মর্যাদার অধিকার লঙ্ঘন করে। লিঙ্গভিত্তিক হিংসার ক্ষেত্রে যে সমস্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে, তা যেন নির্মম এবং অসম্মানজনক ভাবে না করা হয়, সে কথা বলার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বাগ্রে মাথায় রাখার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত।

ধর্ষণের শিকারদের ‘দানব’ হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া অবশ্য একেবারেই বিরল নয়। তা সে গ্রিক পুরাণের নিম্ফ, ড্যাফনি এবং দেবতা অ্যাপোলো হন বা আধুনিক কালের আদালতে বিচারপ্রার্থী কোনও নির্যাতিতা। আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন অনেক সময় ধর্ষিতার শরীর এবং তাঁর যৌনজীবনের ইতিহাস গভীর চর্চা ও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। আইন কিন্তু সম্পূর্ণ এর বিপরীত কথা বলে।

শীর্ষ আদালতের নতুন রায় সত্যিই অত্যন্ত আশাপ্রদ। কিন্তু দেশের সমস্ত হাসপাতালে কাজকর্মের যে প্রচলিত পদ্ধতি, তা পাল্টাতে সময়ও লাগবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি তাই রাজ্য সরকারগুলিরও এ জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা উচিত। তারাই নিশ্চিত করুক: বিদায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’! বিদায়!

(লেখক লোকসভার সাংসদ। মতামত নিজস্ব।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement