Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: উদ্বোধন অযোধ্যায়, ঠাঁই নেই বারাণসীতে

ঠিক হয়েছে, বারাণসী থেকে বাসে করে ভক্তদের নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যায়। সাড়ে চার ঘণ্টার যাত্রার শেষে রামমন্দির দেখে বারাণসী ফেরত নিয়ে আসা হবে।

Advertisement

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,  অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫০
Share:

দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।

বছর ঘুরলেই রামমন্দির উদ্বোধন। সঙ্ঘকর্মীরা তো মন্দির দেখবেনই, সঙ্গে গ্রামে গ্রামে আমজনতাকে মন্দির দেখানোর জন্য ১-১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। তৎপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। এ দিকে অযোধ্যায় হোটেলের অভাব। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বারাণসীকেই সফরের কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, বারাণসী থেকে বাসে করে ভক্তদের নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যায়। সাড়ে চার ঘণ্টার যাত্রার শেষে রামমন্দির দেখে বারাণসী ফেরত নিয়ে আসা হবে। সেই কারণে জানুয়ারিতে কেবল অযোধ্যা দর্শনের কারণে অধিকাংশ ছোট-বড় হোটেলের সব ঘর আগে থাকতেই ভাড়া করে নিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। রামমন্দির দর্শনে যে ভক্তরা আসবেন, তাঁরা অবশ্য এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন। রামমন্দিরের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ দর্শন। কিন্তু, যাঁরা কাশী বিশ্বনাথ দর্শনে কেবল বারাণসী আসবেন তাঁদের কোথায় ঠাঁই হবে, তাই ভেবে কূল পাচ্ছেন না বারাণসীর হোটেল মালিকেরা।

Advertisement

সমাগম: ভিড় উপচে পড়ছে বারাণসীর গঙ্গা-তীরে। —ফাইল চিত্র।

‘লাইভ’ প্রাণপ্রতিষ্ঠা

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার মোড়ে হাট-বাজারে লাগানো হবে পেল্লায় ডিজিটাল স্ক্রিন, যাতে অনেক বেশি মানুষ সংযুক্ত হতে পারেন ‘ঐতিহাসিক’ অনুষ্ঠানটির সঙ্গে। জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানটি ঘিরে এমনই প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা শুরু করেছে সঙ্ঘ পরিবার। সরাসরি সম্প্রচার তো নিশ্চিত। আগে আরও ভাবা হয়েছিল, গোটা দেশের বিভিন্ন পরিবার থেকে মাটির প্রদীপ সংগ্রহ করে জ্বালানো হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব হবে না বলে পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে ভারতের সর্বত্র এক মহা-আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপিও।

Advertisement

মোদীর বাংলা বই

অন্য ভাষায় আগেই অনূদিত হয়েছে। এ-বার গ্রন্থাকারে বাংলায় আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’। ১০০টি পর্ব বাছাই করে দ্রুত তর্জমার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিতব্য এই বইতে বেছে নেওয়া হয়েছে নারীশক্তি, পর্যটন, পিতা-মাতার দায়িত্ব, অতিমারির সঙ্গে দেশবাসীর লড়াই, সামান্য অবস্থা থেকে উঠে আসা বিভিন্ন মানুষের ভিন্ন রকমের সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিয়ো বক্তৃতা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা।

‘কোন শাড়িটা পরব?’

দীপাবলিতে পরার জন্য কী শাড়ি পছন্দ করবেন— মনস্থির করতে সমাজমাধ্যম এক্স-এ মতামত চেয়ে বসলেন নরওয়ের ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মে-এলিন স্টেনার। মাত্র আট সপ্তাহ আগে ভারতে এসেছেন তিনি। দীপাবলিতেই প্রথম শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু লাল, বেগুনি, না নীল, কোন রঙের শাড়ি তিনি পছন্দ করবেন তা ঠিক করতে গিয়ে কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। শেষে কোন শাড়িটি পছন্দ করবেন সেই নিয়ে সমাজমাধ্যমে মতামতই চেয়ে বসেছেন তিনি। তবে এ-ও জানিয়েছেন, তাঁর শাড়ি পছন্দ করার চেয়ে স্বামীর জন্য কুর্তা-পাজামা পছন্দ করা কিন্তু অনেক সোজা ছিল।

বিব্রত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

এ কী কথা শুনি

কথা ছিল, যেই তিনি বলবেন, “কংগ্রেস”, তখনই জনতা বলবে, “মুর্দাবাদ”। কিন্তু, হল উল্টো। অমিত শাহ বললেন, “কংগ্রেস”, জনতা বলল, “জ়িন্দাবাদ”! মধ্যপ্রদেশে প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। রথের মতো সাজানো হয়েছিল অমিত শাহের গাড়ি। সেই রথের উপরে উঠে অমিত শাহ বললেন, “ভারত মাতা কি...!” জনতা বলল, “জয়!” তার পর অমিত শাহ বললেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি!” জনতা জয়ধ্বনি দিয়ে বলল, “জ়িন্দাবাদ”। এর পরেই কাণ্ডটা ঘটল। অমিত শাহ “কংগ্রেস” বলায় জনতা ভুল করে “জ়িন্দাবাদ” বলে ফেলল! অমিত শাহ চটে গিয়েও রাগ দেখাতে পারলেন না। হেসে ফেলে বললেন, “আরে ইয়ার, মুর্দাবাদ বোলনা থা!” অমিত শাহ এতে কিঞ্চিৎ অস্বস্তিতে পড়েছেন ঠিকই। তবে ভারী মজা পেয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement