Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: ‘তবে তো আপনি মাঝমাঠের হিরো!’

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বিরোধী ঐক্য নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি হয়ে গেল একটি জমজমাট ফুটবল আড্ডাও।

Advertisement

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,  অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৪০
Share:

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বিরোধী ঐক্য নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি হয়ে গেল একটি জমজমাট ফুটবল আড্ডাও। যার মধ্যমণি রাহুল গান্ধী এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে যোগ দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ। জয়রাম প্রসূনকে রাজীবপুত্রের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার পরই ফুটবলপাগল রাহুলের প্রশ্ন, “আপনি কোন পজ়িশনে খেলতেন?” মিডফিল্ড শুনে কংগ্রেস নেতার জবাব, “তবে তো আপনি মাঝমাঠের হিরো!” পাশ থেকে পিকে-চুনী-বলরামে আজও মুগ্ধ রমেশ বলে ওঠেন, পিকে এবং প্রসূন, একই পরিবার থেকে দু’জন অর্জুন! এমন বিরল পরিবার আর কোথায়? রাহুলের বিস্ময় আরও বাড়ল, যখন শুনলেন যে, প্রসূন তিন বার এশিয়াড এবং এক বার অলিম্পিক খেলা ফুটবলার। মিডফিল্ডারকে জানালেন, দেখে তো মনেই হয় না তাঁর এত বয়স হয়ে গিয়েছে! বাড়তি খুশি প্রসূন, কারণ বিরাশির এশিয়াডেদিল্লির মাঠে বাংলাদেশকে হারানোর পর রাজীব গান্ধীর উষ্ণ আলিঙ্গন এখনও তাঁর স্মৃতিতে জীবন্ত। রাহুল নিজেও ছাত্রাবস্থায় ফুটবল খেলেছেন বিস্তর। হাঁটুতে চোট পেয়ে খেলা ছেড়েছেন, সে ব্যথা আজও ভোগায়। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় স্বাভাবিক ভাবেই যা গোড়ায় চিন্তায় রেখেছিল কংগ্রেস নেতাকে। পরে অবশ্য হাঁটতে হাঁটতেই কমে আসে যন্ত্রণা।

Advertisement

খেলা: ২০১৭ সালে এক অনুষ্ঠানে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল ছবি।

নতুন সম্পর্ক?

আম আদমি পার্টির তরুণ নেতা রাঘব চড্ডা ও বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়াকে নিয়ে এখন দিল্লির রাজনীতির জগৎ ও বলিউডে গুঞ্জন তুঙ্গে। প্রায়ই তাঁদের যুগলে দেখা যাচ্ছে দিল্লি বা মুম্বইয়ের নানা রেস্তরাঁয়। এত দিন রাঘবকে অনেকেই কেজরীওয়ালের হবু জামাই হিসেবে জানতেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, দলের অনেক নেতাই তাঁকে ও পরিণীতিকে আগাম সুখী জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেলেছেন। রাঘবকে প্রশ্ন করলে তিনি লাজুক হেসে বলছেন, “পরিণীতি নয়, রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন!”

Advertisement

পিঠে হাত কেন

সংসদ ভবনের সামনে কংগ্রেসের ধর্নার শেষে দেখা গেল, মল্লিকার্জুন খড়্গের গাড়ির দেখা নেই। রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির পিঠে হাত দিয়ে জানতে চাইলেন, “আপনি কোথায় যাবেন? আমি নামিয়ে দিচ্ছি।” খড়্গের পিঠে হাত দিয়ে গাড়িতে বসিয়ে তার পর রাহুল নিজে গাড়িতে উঠলেন। রাজাজি মার্গে খড়্গেকে নামিয়ে নিজের বাড়ি গেলেন। এই দৃশ্য দেখেই বিজেপির আইটি সেল মাঠে নেমে পড়ল। রাহুল নাকি খড়্গের পিঠে হাত দেওয়ার আগে নাকে হাত দিয়েছিলেন। অতএব তিনি খড়্গের পিঠে নাক মুছেছেন। দু'দিন পরে দেখা গেল, রাহুলও তাঁর সম্পর্কে এই অপবাদ শুনেছেন। সংসদে সাংবাদিকের সামনেই খড়্গের পিঠে হাত দিয়ে বললেন, “জানেন, আমি আপনাকে ছুঁলে ওরা কী বলে? আমি নাকি আপনার পিঠে নাক মুছি! ক্রেজ়ি পিপল!” গপ্পো শুনে খড়্গেও অবাক।

বিশ্রাম: মলদ্বীপে দেব। ফাইল ছবি।

অনুপস্থিত

গত এক বছরে, অর্থাৎ ২০২২-এর বাজেট অধিবেশন থেকে চলতি বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত মোট চারটি অধিবেশনে, ঘাটালের সাংসদ দেব অধিকারী উপস্থিত থেকেছেন ঠিক দু’দিন করে! এই বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে দিনদুয়েকের জন্য সংসদে দেখা দিয়ে দেব চলে গিয়েছেন সুগভীর নীল সাগরের দেশে তাঁর প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মলদ্বীপে। সমাজমাধ্যমে ভক্তদের জন্য দেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শুটিং-এর ক্লান্তি কাটাতে প্রকৃতির কোলে মগ্ন দেব। প্রশ্ন উঠছে, দিল্লির রোদে প্রতি দিন ধর্না আর মিছিল করে দমসম তৃণমূলের অন্য সাংসদরা কি এ সব ভাল চোখে দেখছেন?

হোয়াইট টাইগ্রেস

দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এক পাশে ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। আর এক পাশে লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিক সম্মেলন শুরুর আগে শুভেন্দু-লকেটদের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন মুখপাত্র আরপি সিংহ। লকেটের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে আরপি বললেন, আমার পাশে যিনি বসে আছেন, তাঁকে আমি হোয়াইট টাইগ্রেস বলে থাকি। শুনেই বড় বড় চোখ করে তাকান লকেট। খুশি হলেন কি? মুখের ভাবে অবশ্য তা বোঝা গেল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement