মাঝেমধ্যে সংস্কৃত শ্লোক। আর বাকি সব সময় শুদ্ধ, নির্ভেজাল হিন্দি। অন্তত গণপরিসরে, এর বাইরে একটি শব্দও মুখে আনেন না শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যের ভাষা হিন্দি। আবার তাঁর সামনে ওই ভাষাতেই অধিকাংশ কথা বলতে শোনা যায় মন্ত্রকের শীর্ষ আমলাদের! কানাঘুষো শোনা যায়, ফাইলের সমস্ত নোটও নাকি লিখে পাঠাতে হয় হিন্দিতেই। এ হেন হিন্দিপ্রিয় শিক্ষামন্ত্রীর এখন একেবারেই দম ফেলার ফুরসত নেই। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে ক্রমাগত তার প্রচার করে চলেছেন তিনি। ব্যস্ত বিরামহীন ভিডিয়ো-আলোচনায়। নতুন নীতিতে পড়ুয়াদের উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। হিন্দি ভাষায় ৪৪টি বই লিখে ফেলা মন্ত্রী তা খারিজ করছেন শুদ্ধ হিন্দিতেই!
ভাষাসাগর: হিন্দি ভাষায় ৪৪টি বই লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক
সরকারি সিপিএম
দিল্লিতে সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতারা প্রায় সরকারি অফিসের মতোই ঘড়ি ধরে দশটা-পাঁচটা অফিস করেন। সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দিল্লিতে হাজির পলিটব্যুরো সদস্যদের বৈঠক হয়। দুপুরে ঘড়ি ধরেই তাঁরা এ কে গোপালন ভবনের ক্যান্টিনের খাবার খান। সকালে-বিকেলে ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট সময়ে সকলের ঘরে ঘরে কাচের গেলাসে দুধ ছাড়া চা-ও পৌঁছে যায়। কোভিডের সময় সরকারি অফিসে যেমন আমলারা পালা করে অফিসে আসছেন, তেমনই এ কে গোপালন ভবনেও সিপিএমের নেতারা পালা করেই অফিসে আসছেন। তবে, কারও ভাগে দু’দিন, আবার কারও তিন দিন দায়িত্ব পড়েছে।
শঙ্কা মিলল
চাকরি জীবনের গোড়ার দিকে কোঝিকোড়ের কালেক্টর হিসেবে কাজ করতেন নীতি আয়োগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অমিতাভ কান্ত। নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম আস্থাভাজন অমিতাভ কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই চমকে উঠলেন। তাঁর মনে পড়ে গেল, কালেক্টর পদে কাজ করার সময় তিনি বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাজার ফুট থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার ফুট করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু, তার পরেও ঝুঁকিপূর্ণ থেকে গিয়েছে পাহাড়ের উপরের বিমানবন্দর। এত বছর পরে ফের তার প্রমাণ মিলল।
দাঁতভাঙা তারুরসরাস
রাজনীতির প্রাচীন প্রবাদ, শশী তারুরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাতে ইংরেজির অভিধান রাখতে হয়। এমন দাঁতভাঙা ইংরেজি শব্দ তিনি ব্যবহার করেন যে অনেকেই তার অর্থ বুঝতে পারেন না। তারুর এ বার তাই নিজেই একটি ‘থেসরাস’ বা সমার্থকোষ লিখে ফেলেছেন। নাম দিয়েছেন, ‘তারুরসরাস’। তাঁর পছন্দের দাঁতভাঙা শব্দমালা সাজিয়েছেন সেই অভিধানে।
ভক্তজন
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কৃষ্ণভক্ত। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলে, কোভিডের সময়েও তিনি জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছেন। নিজের হাতেই ভোগ রেঁধে ঠাকুরকে দিয়েছেন। আলপনাও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় জন্মাষ্টমীর দিনেই ঘোষণা করেছেন, তিনি ‘বিষ্ণুপুরাণ’ অনুবাদের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। ‘ব্রহ্মপুরাণ’-এর অনুবাদ আগেই শেষ হয়েছে। এর পরে তিনি ‘শিবপুরাণ’-এ হাত দেবেন। সব শেষে ‘স্কন্দপুরাণ’-এর কাজে হাত দেবেন। একাধিক দায়িত্ব সামলেও বিবেকের এমন সময়ের সদ্ব্যবহার দেখে অর্থমন্ত্রীও মুগ্ধ।
জন্মাষ্টমীর জামিন
জন্মাষ্টমীর দিনে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। খুনের দায়ে বম্বে হাই কোর্টে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্মেন্দ্র ভালভি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। তার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত জামিন চাইছেন। প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে প্রশ্ন করলেন, ‘এই দিনেই তো কারাগারে প্রভু শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। আপনি জেল থেকে বিদায় নিতে চাইছেন?’ ধর্মেন্দ্রর আইনজীবী জামিনের পক্ষেই অনড় দেখে প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘ভালই। আপনার ধর্মীয় গোঁড়ামি নেই।’ জামিন মঞ্জুর হল ধর্মেন্দ্রর।
নৈবেদ্য: অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে জন্মাষ্টমী