অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
বিপদ যখন ঘনিয়ে ঘাড়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, যখন বিপদ্গ্রস্তের ঘাড়টি মট করে ভেঙে যাওয়ার দশা হয়, তখনই চার পাশ থেকে নিদান হাঁকাহাঁকি আরম্ভ হয়— আগেই বলেছিলাম বাপু, সাবধান হও। হওনি, এখন ঠেলা সামলাও। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিশ্ববিপর্যয়ের পরে জ্যোতিষ চর্চার বিষয়টা নিয়ে ভাবতে বসলে এমনটাই মনে হচ্ছে। যেখানে তিল তিল চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিংশোত্তরী নাকি ধুত্তেরি মতে মানুষের ভবিষ্যতের নাড়িভুঁড়ি বের করা ফেলা হয়ে থাকে, সেখানে এমন একটা মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা টের পেলেন না জ্যোতিষীঠাকুররা? উলটে ২০২০-এর গোড়ায় ইন্টারনেট জুড়ে জ্যোতিষ সাইটগুলো ঘোষণা করেছিল— এটা নাকি একটা দুর্দান্ত বছর, অর্থনৈতিক প্রগতি, মানবিক অগ্রগতি, সামাজিক গতিজাড্য—সব নাকি একেবারে পটকার মতো ফাটবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি গত হতে না হতেই সব ফুউউউস্। কেউ এর কোনও কথাই বলেন না। বিশ্ব জোড়া জ্যোতিষ সভায় নিরবচ্ছিন্ন নীরবতা পালনের ঢল নেমেছে। এক্ষণে বিশ্ব জুড়ে একটা প্রশ্ন জ্বলজ্বল করছে, করোনা সংক্রমণে কি জ্যোতিষের দিন ফুরলো? আবিশ্ব মানুষ কি আস্থা হারালেন জ্যোতিষে?
আমাদের দেশে, যেখানে জ্যোতিষের বাজার রমরমা, মাথার উপর চোখ তুললেই যেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে কামাখ্যাসিদ্ধ, কালপুরুষ-সুসিদ্ধ, বশীকরণে তাকডুমাডুম সব বাবাজি-মাতাজির বিজ্ঞাপন, সেখানে কেউ একবারও প্রেডিক্ট করতে পারলেন না এই অতিমারির বিষয়, এটা রীতিমতো আশ্চয্যির ব্যাপার। কেউ কেউ মিউ মিউ করে বলছেন বটে, ‘নারদ সংহিতা’-য় এই অতিমারি সম্পর্কে চেতাবনি ছিল। তেমন সাবধানবাণী যে কোনও পুরাণে, যে কোনও সময়ের জন্যই থাকে। অতি ধোঁয়াটে ভাষায় উল্লিখিত সেই সব সাবধানবাণীর পাঠোদ্ধার করতে গেলে শিবের বাবাকেও হেঁচকি তুলতে হয়। সুতরাং, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। মাথায় ফেট্টি বাঁধা, ব্যাকগ্রাউণ্ডে মা ছিন্নমস্তার ছবি লাগানো তাসাপার্টির ইউনিফর্মের মতো পাঞ্জাবি পরা বাবাজি অথবা কপালে একশো টাকার কয়েনের সাইজের টিপ পরা মাতাজিরা কেউই জোর গলায় বলতে পারছেন না, এই বিপর্যয় তাঁদের অজ্ঞাত ছিল না।
অতএব, তাকাও পাশ্চাত্য পানে। পশ্চিমের ডাকসাইটে জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞা সুজান মিলার ২০২০-এর গোড়ায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই বছরটা দুর্দান্ত যাবে। সব মিলিয়ে একেবারে ধন-ধান্য-পুষ্প ভরা। পাবলিকে হই হই করে সুজানের বক্তব্য ‘খেয়েছিল’ এবং চুপটি করে সেই ‘দুর্দান্ত’ বছরের স্বাদ উপভোগের জন্য বসেছিল। কিন্তু জানুয়ারি ফুরতে না ফুরতেই ‘দুর্দান্ত’ শব্দটা অন্য ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হল। ঠেলার নাম যে গুরুচরণ, তা টের পাওয়া গেল হাতে নাতে। করোনা সঙ্কটে হিম ও শিম খেতে খেতে পাবলিকে সাময়িক ভাবে ভুলে গেল, সুজান বা তাঁর মতো জ্যোতিষিরা কী বলেছিলেন। অতিমারির প্রাথমিক দশায় বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুমিছিল দেখতে দেখতে সে অর্থে কারোরই মর্জি ছিল না জ্যোতিষ নিয়ে মাথা ঘামানোর। কিন্তু লকডাউনে চলে যাওয়ার পরে অনেকের হাতেই অঢেল সময় যখন খদবদ করতে শুরু করল, তখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করল জ্যোতিষ নিয়ে। যাঁরা নামকরা জ্যোতিষ সংস্থার অ্যাপ ডাউনলোড করে রেখেছিলেন, তাঁদের একটা বড় অংশ রীতিমতো সন্দেহ পুষতে শুরু করলেন এবং বিভিন্ন ওয়েব সাইটে, ব্লগে, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তাঁদের সেই সব সন্দেহ ব্যক্ত করতে লাগলেন। করোনার দাপটে সভ্যতা যতটা সঙ্কটে পড়ল, তার চাইতে অনেক বেশি সঙ্কটে পড়লেন জ্যোতিষীরা এবং তাঁদের শাস্ত্র।
আরও পড়ুন: যে ঘুম ভাঙবে না কখনও কিংবা যাঁরা ঘুমোননি
বিভিন্ন জ্যোতিষ সাইটে, অ্যাপে জনগণের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যে সব কথা বলা হয়েছিল, একে একে সেগুলোকে তুলে ধরে শুরু হল তুলোধোনা। অতিমারি, লকডাউন এবং তার ফলে বিশ্ব অর্থনীতির বিপর্যয় এবং তার সূত্রেই মানুষের জীবিকায় টানাপড়েন— এই নিয়ে কোন চেতাবনি দিয়েছিলেন ভবিষ্য-কথকরা, এই মর্মে ক্ষোভের উদ্গীরণ শুরু হয় সর্বত্র। ২০২০-এর মার্চ মাস থেকে আর ব্যক্তিগত নয়, বিশ্বসুদ্ধ পাবলিকের ভাগ্য এক অর্থে ‘নৈর্ব্যক্তিক হয়ে উঠল। ঘরবন্দি, উদ্বেগে দীর্ণ এই দশা সম্পর্কে জ্যোতিষীদের কী চেতাবনি ছিল— এই প্রশ্ন রাগী কণ্ঠস্বরে উঠে আসতে শুরু করল। যাঁরা বিশ্বাস হারিয়েছেন, তাঁরা এবং যাঁরা এখনও বিশ্বাস হারাননি তাঁরাও একই রকম আর্তি নিয়ে জ্যোতিষীদের প্রশ্ন করে চললেন (এখনও অনেকে করে চলেছেন)— কবে এই গেরো কাটবে?
এমতাবস্থায় চুপ করে থাকলে মুশকিল। জ্যোতিষীরাও টের পেলেন, ঘোর সঙ্কট সমাসন্ন। এই মুহূর্তে এই সব প্রশ্নের উত্তর না দিলে যে খেলা অন্য দিকে ঘুরবে, তাঁদের প্রেস্টিজ থেকে শুরু করে জীবিকা পর্যন্ত গাড্ডায় গিরবে, সেটুকু তাঁরা বুঝতে পারলেন। এ বার ধেয়ে এল জ্যোতিষীদের তরেফে ব্যখ্যার তরঙ্গ। বাপ রে বাপ! সেই তরঙ্গে হাবুডুবু খেতে খেতে জ্যোতিষ জিজ্ঞাসুদের অবস্থা কী হতে পারে, তা কল্পনা করতে গেলে সেই সব ব্যাখ্যার কয়েক ঝলক এখানে উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
প্রথমেই জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলে রাখেন, ব্যক্তিমানুষের ভাগ্য বিচার আর দেশ-পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ণয় এক কাজ নয়। দেশ-পৃথিবী নিয়ে চর্চা করে পাশ্চাত্য ‘মান্ডেন অ্যাস্ট্রোলজি’। সেটা নাকি ব্যক্তিমানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তা এই মান্ডেন অ্যাস্ট্রোলজির চর্চাকারীরা কি সামান্যতম আঁচটুকু পেলেন না এ হেন বিপর্যয়ের? চর্চাকারীদের একাংশ এ বিষয়ে তাঁদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু ভাঙেন তবু মচকান না-গোছের একটা বড় অংশ জানাচ্ছেন, এই অতিমারির পিছনে কাজ করছে বৃহস্পতি এবং প্লুটো গ্রহ। এ বছর মকরে বৃহস্পতির অবস্থান তাকে নীচস্থ করে রেখেছে। ফলে বৃহস্পতি নাকি তার কাছ থেকে অভিপ্রেত শুভফল দিতে পারছে না। পাশ্চাত্য জ্যোতিষে আবার এই উচ্চ-নীচ ব্যাপারটা নাকি নেই। তা হলে ঘাপলা হি ঘাপলা! থাক বেস্পতি। প্লুটো মশায়ের খতিয়ান নেওয়া যাক। সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহের সঙ্গে এই খুদে গ্রহটিও নাকি মকর রাশিতে অবস্থান করছে। সে কারণেই নাকি এই ধামাল। তা হলে দোষ বেস্পতিরও নয়, প্লুটোরও নয়। দোষ মকরের। এর পরের যুক্তিটা সাংঘাতিক। পশ্চিমী জ্যোতিষে মকর নাকি ‘বৃদ্ধ’-দের রাশি। মকর-জাতকরা নাকি সকলেই অকাল-বার্ধক্যের শিকার হন। এই কারণে করোনার আক্রমণ বৃদ্ধদের ক্ষেত্রেই কালান্তক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে হাঁক পাড়তে ইচ্ছে করছে—লেঃ লুল্লু! এহেন যুক্তিজাল দিয়ে অতিমারিকে জাস্টিফাই করার প্রচেষ্টায় আর অন্য কোনও এক্সপ্রেশন মাথায় আসে না। তা হলে জেনে রাখুন, যুক্তি এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। প্লুটো নাকি একাধারে জনগণের গ্রহ এবং সে নাকি মৃত্যুরও অধীশ্বর। ফলে গণমৃত্যুর ব্যাপারটা জাস্টিফায়েড। এবারে মরো সবাই এক ডাবু হাতা বেস্পতির সঙ্গে এক গেলাস মকর আর দেড় আউন্স প্লুটো মিশিয়ে তৈরি পাঁচন গিলে।
এ কথা অবশ্যই স্বীকার করা উচিত যে, জ্যোতিষের নিজস্ব যুক্তির জগৎ আর ইউনিভার্সাল সায়েন্টিফিক রিজনিং-এর যুক্তির জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা। একটা দিয়ে অন্যটার যাথার্থ নির্ণয়ের চেষ্টা অনুচিত। কিন্তু এটাও একই সঙ্গে ভেবে দেখা দরকার, একটা বিপুল অংশের মানুষ জ্যোতিষ-নির্ভর। কি প্রাচ্যে, কি পাশ্চাত্যে সংবাদপত্রে জ্যোতিষ সংক্রান্ত কলামের উপস্থিতি থেকে শুরু করে সংবাদ-সংক্রান্ত ওয়েব সাইটে জ্যোতিষ বিষয়ক পেজের ট্র্যাফিক— এই জনপ্রিয়তার স্বপক্ষেই রায় দেয়। পশ্চিমের বেশ কিছু সাইটের জ্যোতিষ বিভাগে নাকি ট্র্যাফিক গত এক মাসে বেড়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন সেখানকার কালচারাল ট্রেন্ড অ্যনালিস্টরা। সেই সব কলামে অবশ্যই থাকছে রাশি ধরে ব্যক্তিগত ভবিষ্যদ্বচন। অতিমারি বা দুনিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সেই সব কলাম একবিন্দু ভাবিত নয়। এ থেকে একটা কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, দুনিয়া গোল্লায় যাক, আমারটা ঠিক থাক— এই মনোবৃত্তির মানুষের সংখ্যা বিশ্বে কম নয়। এমনও হতে পারে, যে ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমারি নিয়ে উদ্বেগের চাষ করছেন আর লকডাউনে নিজের ডিপ্রেশন ব্যক্ত করছেন, তিনিই সক্কাল-সক্কাল নিজের রাশিফলটা টুক করে দেখে নিচ্ছেন। তেমন লোককে এটা কিছুতেই বোঝানো সম্ভব নয় যে, দুনিয়া গোল্লায় গেলে তুমি কিছতেই ‘গোল্লাছুট’ নও। তোমার জন্যও কাল তার মুখব্যাদান ছেতড়ে রেখেছে। যে কোনও মুহূর্তে তুমিও হড়কে যেতে পার।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন এখন, ভাইরাস কি শীতে পালোয়ান, গরমে কাবু?
মনোবিদরা জানিয়ে থাকেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত দৈনিক রাশিফল অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই একটা ‘সেফটি ভালভ’-এর কাজ করে। ভাল কিছু ঘটবে— এই আশায় বুক বেঁধে অনেকেই সেদিনটা কাটিয়ে পরের দিনে পা রাখেন। এই দিন এনে দিন কাটানো মানুষরা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগা। কিন্তু, বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ডামাডোল, যে কোনও মুহূর্তে জীবিকাহীন হওয়ার আশঙ্কা, পরিজন নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদিতে ছেয়ে থাকা কালমাত্রায় ‘দৈনিক রাশিফল’ অনেককেই বেঁচে থাকার রসদ যোগায়। তেমন পয়েন্ট থেকে দেখলে করোনা-উত্তীর্ণ বিশ্বে জ্যোতিষের প্রতি মানুষের আস্থা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।
জ্যোতিষ শাস্ত্র ভ্রান্ত কি অভ্রান্ত, সেই তর্ক এখানে নয়। এখানে প্রশ্ন ছিল—কেন জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা আগাম জানাতে পারলেন না এই বিপর্যয় সম্পর্কে। সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতি-প্লুটো-মকরের ককটেলের থিওরি কেমন যেন ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার একটা করুণ প্রচেষ্টা। এর পরে আবার এই তত্ত্বের সমর্থকরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতির প্রভাবে আবার পৃথিবী সমৃদ্ধির মুখ দেখবে। করোনা-কাল শেষ হলেই নাকি সুজলাং-সুফলাং। এটা প্রেডিক্ট করতে জ্যোতিষ জানার কোনও দরকার পড়ে না। ক্লাস ইলেভেনে পাঠরত অর্থনীতির যে কোনও ছাত্রই বলতে পারে মন্দার পরে একটা তেজিভাব অর্থনৈতিক চক্রে ঘটে থাকে। সেটাই নিয়ম। ফলে সেই প্রেডিকশনকেও ক্রেডিট দেওয়া যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত। ফলে ‘মান্ডেন অ্যাস্ট্রোলজি’-র মস্তক মুণ্ডন আগামী ভবিষ্যতে অসম্ভব নয়।
মান্ডেন থেকে সরে আসি আমাদের জমিতে। শহরজোড়া ব্যানারে-হোর্ডিংয়ে শোভাপ্রাপ্ত/ শোভাপ্রাপ্তা পিচাসসেদ্ধ স্বঘোষিত মহাপুরুষ/ মহিয়সীদের কী হবে? নাঃ। লকডাউনের বাজারে তাঁদের খুব একটা কিছু এসে-গিয়েছে বলে মনে হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে নিয়মিত লাইভ কছেন অনেকেই। বাণী দিচ্ছেন— এই দুর্যোগ কাটল বলে। ওদিকে কমেন্ট বক্সে পিড়িং পিড়িং করে প্রশ্ন ঢুকছে— ‘আমার মেয়ের বিয়ে কবে দিতে পারব?’ অথবা ‘আমার কি সরকারি চাকরি হবে’। প্রশ্নের উত্তরও চলছে সমান তালে। এই পরিসরে দাঁড়িয়ে কে বুঝবে মাথার উপরে মহামারি ঝুলছে! ফলে করোনোত্তর কালে জ্যোতিষের খেলা থামবে বলে মনে হয় না।
পুনশ্চ: এই লেখা লিখতে লিখতে কেমন একটা বেদম হয়ে পড়ায় পঞ্জিকা ঘাঁটতে বসি। ২০১৯-এর দুর্গাপুজোয় মায়ের আগমন ও গমনটা কীসে ছিল একবার চোখ বোলাই। এই গমনাগমনের বাহনের উপরেই নাকি নির্ধারণ করে ধরার আগামী এক বছরের ভাগ্য। দেখা গেল, দেবী এসেছিলেন ঘোটকে এবং গিয়েছেনও ঘোটকে। এর ফল ‘ছত্রভঙ্গ’। অর্থাৎ কি না আনপ্রেডিক্টেবল ওলট-পালট। নাঃ। এটাকে উড়িয়ে দিতে পারছি না। গোটা দুনিয়াই এখন টপসি ও টার্ভি-র মাঝখানে ডিগবাজি খাচ্ছে। ২০২০-তেও দেবীর আগমন ঘোটকে। ধুস্!! সহজে জ্যোতিষ পিছু ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে না।