রাজা চার্লসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবরে সকলে হতচকিত। রাজার মেডিক্যাল টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন নতুন সার্জেন্ট সার্জন অর্থাৎ রাজার ব্যক্তিগত চিকিৎসক তথা ইউরোলজিস্ট রণন দাশগুপ্ত। গত বছরই তিনি ভূতপূর্ব সার্জেন্ট সার্জন সত্যজিৎ ভট্টাচার্যের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৬ বছর প্রয়াত রানির চিকিৎসার পর ডা. ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেন। প্যালেস জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজার প্রস্টেটে সফল অস্ত্রোপচার হলেও, পরীক্ষানিরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়েছে। তবে, প্রস্টেট ক্যানসার হয়নি। রাজপরিবারের নতুন বছরটা শুরু হল দুশ্চিন্তার আবহে। রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথারিন একই সময়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হলেন। জানুয়ারিতে প্রথমে জানা গিয়েছিল, ক্যাথারিনকে তলপেটের অস্ত্রোপচারের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়েছে, দু’সপ্তাহ থাকতে হবে। সে দিনই জানা গেল, রাজারও অস্ত্রোপচার হবে। নিরাপত্তা বাবদ খরচ কমাতে রাজাও একই হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তবে খুব সম্ভবত ডাক্তার ভট্টাচার্য ক্যাথারিনের অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকদের সাহায্য করছেন। নামী এই চিকিৎসক রাজপরিবারের ভরসার পাত্র। ২০১৩-য় প্রিন্স ফিলিপের পেটেও বড়সড় অস্ত্রোপচার করেছিলেন। ৭৫ বছরের রাজার শারীরিক পরিস্থিতি দেখশোনার গুরুদায়িত্ব এখন বাঙালি চিকিৎসকদের হাতে।
ঋষির উপবাস
ঋষি সুনকের এক বন্ধু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করেন। তিনি নাকি রবিবার সন্ধে ৫টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত কিছু খান না। মাঝখানের সময়টা গ্রিন টি বা কালো কফি খেয়ে থাকেন। সুনক বলেছেন, ধর্মীয় কারণে উপোস। সোমবারের উপোসটা নাকি তাঁকে ধরিয়েছেন শাশুড়ি সুধা মূর্তি। সুনক মদ্যপান করেন না, তবে আখের চিনি দিয়ে তৈরি মেক্সিকান নরম পানীয়ের ভক্ত। ঠাসা রুটিনের মধ্যেও ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (আট ঘণ্টা অন্তর খাওয়া) করেন। ২০২২-এ জানিয়েছিলেন, বেশির ভাগ দিনই প্রাতরাশ করেন না। তবে যে দিন খান, পাতে থাকে গ্রিক ইয়োগার্ট আর ব্লুবেরি। তবে তিনি নাকি একটু বেলার দিকে ‘দ্বিতীয় প্রাতরাশ’ করেন। তখন দারচিনি দেওয়া পাউরুটি, বা চকলেট ক্রসঁ অথবা চকলেট চিপ মাফিন খেতে ভালবাসেন। এত চকলেট খেলে সোমবারের উপবাসটি জরুরি হয়ে যায় বইকি!
বিশ্বাসঘাতক
গোটা জানুয়ারি দর্শকদের বুঁদ করে রেখেছিল বিবিসির রিয়্যালিটি শো দ্য ট্রেটরস। এই গেম শো-র প্রতিযোগীরা চার সপ্তাহ স্কটিশ দুর্গে ছিলেন। খেলার নিয়মে এঁদের কয়েক জন ‘বিশ্বস্ত’, বাকিরা ‘বিশ্বাসঘাতক’। বিশ্বস্তরা বিশ্বাসঘাতকদের খেলা থেকে বার করতে চেষ্টা করেন, আর বিশ্বাসঘাতকেরা প্রতি রাতে এক জনকে ‘হত্যা’ করেন। শেষে খেলায় পড়ে থাকেন দু’জন। তাঁদের এক জনও যদি ‘বিশ্বাসহন্তা’ হন, তিনিই জ্যাকপট জিতবেন। আর শেষ দু’জনই ‘বিশ্বস্ত’ দলের হলে, তাঁরা জ্যাকপট ভাগ করে নেবেন। ফাইনালে ৯৫,০০০ পাউন্ডেরও বেশি জ্যাকপট জিতলেন এক ‘বিশ্বাসঘাতক’। তবে সিরিজ়ে নায়কের সম্মান পেলেন ভারতীয় শিখ যুবক জ্যাজ় সিংহ। ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন, জিতেই গিয়েছিলেন প্রায়। প্রথম থেকেই বিশ্বাসঘাতক কে, ঠিক ঠিক আন্দাজ করে ফেলছিলেন। গোয়েন্দা গল্পলেখিকা আগাথা ক্রিস্টির আদলে সমাজমাধ্যম তাঁর নাম দিয়েছিল জাজ়াথা ক্রিস্টি।
কার্ল মার্ক্সের পাশেই
নর্থ লন্ডনে হাইগেট সিমেট্রিতে কার্ল মার্ক্সের সমাধি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল গঠনের প্রয়োজন। তাই কর্তৃপক্ষ বিখ্যাত ওই সমাধিস্থলে কিছু নতুন জায়গা তৈরি করেছেন। ২৫,০০০ পাউন্ডেরও বেশি খরচায় সেখানে, মার্ক্সের পাশেই নিজেরও সমাধির ব্যবস্থা করে রাখা যাবে। সমাধিস্থলের বাকি প্লটের দাম ৫০০০ পাউন্ড। অনেকেই বলছেন, এমন ‘অর্থকরী’ প্রস্তাব শুনলে কবরে মার্ক্স নড়েচড়ে উঠবেন। মার্ক্সকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এই বিচিত্র পদ্ধতি নিয়ে স্বভাবতই বিতর্ক বেঁধেছে। কেউ কেউ বলছেন, এ হল ইলন মাস্ক-গোত্রীয় উগ্র প্রচারকৌশল। হাইগেটে পপতারকা জর্জ মাইকেল, সাহিত্যিক জর্জ এলিয়ট, ইতিহাসবিদ এরিক হবসবমও শায়িত। সমাধিক্ষেত্রে প্রবেশমূল্য দশ পাউন্ড।