এই মুহূর্তে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নগদের ঘাটতিই অন্যতম বড় সমস্যা বলে বুধবার জানাল এসবিআইয়ের আর্থিক গবেষণা বিভাগ। যে সমস্যা থাকার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনাও মঙ্গলবার, ঋণনীতি পর্যালোচনার দিন নিমেষে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। জানিয়েছিলেন, নগদের জোগান নিয়ে কোনও চাপ নেই এখন। বরং তাঁর দাবি ছিল, নগদের ঘাটতির সমস্যা নিয়ে ছড়ানো জল্পনার সঙ্গে আদতে বাস্তবের মিলই নেই। এবং এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণও রয়েছে তাঁদের হাতে। এসবিআইয়ের গবেষণা বিভাগ অবশ্য বলছে, পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে তাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেই আরও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে এ ব্যাপারে। না হলে অভাব আরও বেড়ে সমূহ বিপদ ডেকে আনবে অর্থনীতির জন্য।
গবেষণায় নিযুক্ত অর্থনীতিবিদদের দাবি, ‘‘এক দিকে, বাসেল থ্রি বিধি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে বেশি পরিমাণ নগদ জোগানের ব্যবস্থা (লিকুইডিটি কভারেজ রেশিও) রাখতে হবে (আগের বছরের ৬০% থেকে বেড়ে যা এ বার ৭০% হয়েছে)। অন্য দিকে, আবার ব্যাঙ্কগুলিতে বর্তমানে আমানতের পরিমাণও তেমন বাড়ছে না। এই অবস্থায় নগদের ঘাটতি মেটাতে এগিয়ে এসে যা করার করতে হবে শীর্ষ ব্যাঙ্ককেই।’’
রাজনের নজর এখন মূলত মুল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দিকে। আর বাড়তি নগদের সরবরাহ সেই হার আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজেদের রিপোর্টে ওই অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, ‘‘টাকার অভাবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় প্রকৃত কার্যক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কাজেই শীর্ষ ব্যাঙ্ক বাড়তি নগদের জোগান দিলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, এই আশঙ্কা অমূলক। বরং ওই টাকায় ঘাটতি পূরণ হলে কর্মক্ষমতার পরিপূর্ণ ব্যবহার করা যাবে। উন্নত হবে পরিষেবা। লাভবান হবে অর্থনীতি।’’