বাজারে শেয়ার ছাড়তে চলেছে অ্যারামকো। ফাইল চিত্র
এ বার শেয়ার বাজারে পা রাখতে চলেছে অ্যারামকো। খুব শীঘ্রই বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও) ছাড়তে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত তৈল উৎপাদনকারী সংস্থা। কত শতাংশ শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীদের জন্য ছাড়া হবে, সংস্থার তরফে তা নির্দিষ্ট করে বলা না হলেও বণিকমহলের অনুমান এক বা দুই শতাংশ শেয়ার ছাড়তে পারে অ্যারামকো। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ইয়াসির আল রুমায়ন এ খবর জানিয়ে বলেছেন, আপাতত বিদেশি শেয়ার বাজারে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে চাইছে না অ্যারামকো।
অ্যারামকোর এই ঘোষণা সামনে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। কত দামে শেয়ার ছাড়তে পারে, কত অংশ বাজারের জন্য ছাড়া হবে, সেই শেয়ারের ভবিষ্যৎ কি— এ সব নিয়ে লগ্নিকারী ও বণিকমহলে জোর চর্চা। আন্তর্জাতিক শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা ‘আইজি গ্রুপ’-এর মুখ্য বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্রিস বুয়েচাম্প বলছেন, এই মুহূর্তে অ্যারামকোতে বিনিয়োগ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত সৌদি আরবের মতো দেশে। বুয়েচাম্প মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই অ্যারামকোর দু'টি তেলের খনিতে ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব বাজারে তেল আমদানিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতেও হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে ওই সংস্থা। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও লাফিয়ে বাড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন বুয়েচ্যাম্প।
তবে অ্যারামকোর প্রধান আমির নাসির সংস্থার এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। আনুমানিক ৮৪ লক্ষ কোটি টাকার এই তেল উৎপাদক সংস্থাকে বিশ্বের অন্য সমস্ত তেল উৎপাদক সংস্থার প্রধান হিসেবে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:দূষণে জেরবার দিল্লি ছেড়ে পালাতে চাইছেন ৪০ শতাংশ নাগরিক, বলছে সমীক্ষা
আরও পড়ুন:৫০:৫০ সঙ্ঘাতের আবহেই অজিত পওয়ার-সঞ্জয় রাউত কথা, এনসিপি-সেনা জোট জল্পনা চরমে
কেন বাজারে ছাড়া হচ্ছে সৌদি আরম্যাকোর শেয়ার? বিশেষজ্ঞদের দাবি, সৌদি সরকার এই মুহূর্তে তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। অর্থনীতির অবস্থা ফেরাতে জোর দেওয়া হচ্ছে ভিশন ২০৩০-তে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারিকরণ তারই অংশ। এই মুহূর্তে সৌদি আরবের আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল বিক্রি থেকে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে তোলা, এই নির্ভরতা কমিয়ে আনাই সরকারের বর্তমান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই শেয়ার বাজারে পদার্পণ অ্যারামকোর।