চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মীরা ২০% হারেই বোনাস পাবেন। ফাইল চিত্র।
গত বছরের মতো এ বারও তরাই ও ডুয়ার্সের (পাহাড় বাদে) ১৮৩টি চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মীরা ২০% হারেই বোনাস পাবেন। মঙ্গলবার বাগানের মালিকপক্ষ ও ইউনিয়নগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরের ধাপে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইউনিয়নগুলির মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি শ্রমিক এবং কর্মী ওই বোনাস পাবেন। তবে রুগ্ণ এবং ধুঁকতে থাকা কিছু বাগানে বোনাসের হার গতবারের মতোই কিছুটা কমতে পারে। আজ, বুধবার পাহাড়, অর্থাৎ, দার্জিলিঙের বাগানগুলির বোনাস নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।
করোনা আবহের জন্য এ দিন অনলাইনেই বৈঠক সেরেছে মালিকপক্ষের সংগঠন সিসিপিএ এবং ইউনিয়নগুলি। রাত পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে সিসিপিএ-র সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা জানান, চার শ্রেণির সমস্ত বাগানেই ২০% হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রুগ্ণ ও সঙ্কটে থাকা বাগানগুলির ক্ষেত্রে গত বারের মতোই কিছুটা নমনীয় হওয়ার জন্য ইউনিয়নগুলিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চের তরফে জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘গতবারও একটি বৈঠকেই বোনাস নিয়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল। এ বারও তা-ই হয়েছে। আমরা বলেছি সেপ্টেম্বরেই যেন বাগানে বাগানে গিয়ে নগদে বোনাস দেওয়া হয়।’’ তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা স্বপন সরকার বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত স্বাগত।’’ অরিজিৎবাবু জানান, ৩০ সেপ্টেম্বের মধ্যেই বাগানগুলি সকলকে বোনাস দিয়ে দেবে।