কাটছে না অনিশ্চয়তা। ডানকানের তুলসীপাড়া বাগান। — ফাইল চিত্র
ডানকান গোষ্ঠীর সাতটি চা বাগানের পরিচালন ভার হস্তান্তরের জন্য আগ্রহপত্র চাওয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারলেও আদালতের আগাম অনুমতি ছাড়া সেগুলি কোনও সংস্থার হাতে তুলে দিতে পারবে না কেন্দ্র। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
ডানকান গোষ্ঠীর ওই বাগানগুলির পরিচালন ভার অধিগ্রহণ ও তা হস্তান্তরে জন্য টি বোর্ডকে দায়িত্ব দিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ডানকান গোষ্ঠী হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে মামলা করেছিল। গত ১৫ মার্চ ওই আদালতে মামলাটি হেরে যায় সংস্থা। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলার খরচ বাবদ কেন্দ্রকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে ডানকানকে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালে়ঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি আপিল মামলা দায়ের করে ডানকান গোষ্ঠী। এ দিন সেই আপিল মামলারই শুনানি ছিল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য ওই পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার বিষয়টির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
এ দিন ডানকান গোষ্ঠীর আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র আদালতে জানান, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে তাঁর মক্কেলের বক্তব্য সঠিক ভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ও টি বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডানকান গোষ্ঠীর চা বাগানগুলির পরিচালন ভার নিয়ে নিলেও শ্রমিকদের বেতন মেটায়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ ও টি বোর্ডের আইনজীবী তিলক বসু আদালতে জানান, ডানকানের
সাতটি চা বাগানের পরিচালন ভার হস্তান্তরের জন্য আগ্রহপত্র চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে, বিচারপতি স়ঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, যে যে শর্তে উত্তরবঙ্গে তাদের সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণ করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেই সব শর্ত পূরণ হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি জারির বৈধতা রয়েছে। তবে হাইকোর্ট এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, শুধু বিজ্ঞপ্তি জারিই নয়, বাগানগুলি চালু রাখতে, কাজ হারানো শ্রমিকদের পুনরায় কাজে বহাল করতে ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটাতে যা যা করা দরকার সেগুলি কেন্দ্র, টি বোর্ড ও রাজ্য সরকারকে পালন করতে হবে।