এক সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন ৩৯% পরিবারই গত তিন বছরে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ভাবে প্রতারিত হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময় থেকে দেশে ইন্টারনেট মারফত আর্থিক লেনদেন যেমন বেড়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাতে প্রতারণাও। লোকাল সার্কলসের এক রিপোর্টে দাবি, তাদের সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৯% পরিবারই গত তিন বছরে অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ভাবে প্রতারিত হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু মাত্র ২৪% এমন পরিস্থিতিতে খুইয়ে বসা টাকা ফিরে পেয়েছে। উল্লেখ্য, অনলাইনে নাগরিক সমাজের নানা সমস্যা তুলে ধরে লোকাস সার্কলস। সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে মত গ্রহণের পাশাপাশি সমীক্ষাও চালায় তারা।
ডিজিটাল লেনদেনে জোর দিলেও, সেখানে প্রতারণার নিত্যনতুন পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে আমজনতাকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র এবং আরবিআই। ব্যাঙ্কগুলিও গ্রাহকদের সচেতন হতে বলছে। এই অবস্থায় সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২,০০০ ব্যক্তির ২৩% জানাচ্ছেন ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড জালিয়াতির কথা। ১০ শতাংশের এটিএম বা ডেবিট কার্ডে প্রতারণা হয়েছে। ১৩% বলছেন, অনলাইনে কেনাকাটা ও বিজ্ঞাপনে ভরসা করে প্রতারিত হয়েছেন। ১৩% টাকা দিলেও পণ্য পাননি, ১০% ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ভুগেছেন এবং ১৬% অন্য নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির মধ্যে আর্থিক প্রতারণাই সর্বাধিক। ৩০% অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, পরিবারে কোনও এক জন এবং ৯% বলেছেন একাধিক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন। ৫৭% বেঁচে গিয়েছেন। শুধু শহরই নয়, ডিজিটাল প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে দেশের ছোট, মাঝারি শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও।
লোকাল সার্কলের মতে, ২৪% ভুক্তভোগী মানুষ টাকা ফিরে পেয়েছেন। যা আগের ১৭ শতাংশের চেয়ে বেশি। কিন্তু ৪১ শতাংশের ক্ষেত্রে সমস্যা মেটেনি। বাদবাকিদের অধিকাংশই কোথায় যাবেন জানেন না বা অভিযোগ করেনইনি। সংস্থার মতে, অভিযোগ পেলে আগের থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এখন। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এখনও যে অনেকটা পথ যাওয়া বাকি তা সমীক্ষায় স্পষ্ট।