প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারের প্রভাবে সপ্তাহের শুরুর দিনেই উত্থানের মুখ দেখল ভারতের শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স ১০৪১.০৮ পয়েন্ট বেড়ে দিন শেষ করে ৫৫,৯২৫.৭৪ অঙ্কে। নিফ্টিও ৩০৮.৯৫ পয়েন্ট উঠে থামে ১৬,৬৬১.৪০ অঙ্কে। এ নিয়ে টানা তিন দিনে সেনসেক্স ২১৭৬.৪৮ পয়েন্ট ওঠায় ১০.১৯ লক্ষ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিএসই-র লগ্নিকারীরা। যদিও এই উত্থানে এখনই স্বস্তি পাওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই ধারা বজায় থাকে কি না, আরও কিছু দিন দেখা জরুরি। কারণ মূল্যবৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বা সুদ বৃদ্ধির মতো যে সমস্ত কারণে বাজার পড়ছিল, সেগুলি এখনও রয়েছে।
এ দিন বাজারের উত্থানের অন্যতম কারণগুলি হল—
* আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোর আশায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের সুদ বৃদ্ধি নিয়ে নরম সুর।
* চিনে করোনা বিধিনিষেধ শিথিলের খবরে পণ্য ও কাঁচামালের জোগানের সমস্যা মেটার সম্ভাবনা।
* ভারতে সময়ের আগেই বর্ষা আসা।
* পড়তি বাজারে কম দামে ভাল শেয়ার কেনার সুযোগ।
* দীর্ঘ দিন পরে বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার কিনতে নামা। এ দিন যারা ঢেলেছে ৫০২.০৮ কোটি টাকা।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের অবশ্য মতে, ‘‘তেলের আকাশ ছোঁয়া দাম, বিভিন্ন দেশে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ও তার জেরে বিশ্ব জুড়ে সুদ বৃদ্ধির প্রবণতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো কোনও সমস্যারই সমাধান হয়নি। গত ক’দিন বাজার উঠলেও তা সাময়িক।’’ বাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখও বলেন, ‘‘পড়তি বাজারের সুযোগ নিয়ে লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনাতেই সূচক বেড়েছে। সার্বিক ভাবে অবস্থা বদলায়নি। বাজার আপাতত অনিশ্চিতই থাকবে। বরং জুনে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতিতে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকে নজর লগ্নিকারীদের।’’ তার উপরে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এখনও ব্যারেলে ১২২ ডলারের আশেপাশে থাকা এবং কাঁচামালের চড়া দামের জেরে সংস্থাগুলির খরচ বৃদ্ধিও চিন্তায় রাখছে বাজারকে।