ফাইল চিত্র।
দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দর আকাশছোঁয়া। উত্তরপ্রদেশের ভোট এবং দেশ জোড়া ক্ষোভের মুখে তা কমানো প্রয়োজন বুঝলেও, উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই করে সুরাহা দেওয়া নিয়ে দ্বিধায় মোদী সরকার। বরং তারা বিশ্ব বাজারে চড়া অশোধিত তেলের দাম কমাতে বলছে রফতানিকারী দেশগুলিকে। এরই মধ্যে আজ, বুধবার আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস সংস্থাগুলির সিইও, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে তেলের প্রসঙ্গ কী ভাবে উঠবে তা স্পষ্ট না-হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ওই মহলকে কোনও না কোনও বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম নিয়ে যেখানে মুখ পুড়ছে তাঁদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থায় বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গোটা দেশের নজর থাকবে সে দিকে।
বিশ্ব বাজারে মঙ্গলবারও ব্যারেল পিছু অশোধিত তেল ঘোরাফেরা করেছে ৮৫ ডলারের আশেপাশে। দেশে অবশ্য সোম ও মঙ্গল, দু’দিনই দাম ছিল অপরিবর্তিত। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে পেট্রল এখন ১০৬.৪৩ টাকা। ডিজ়েল ৯৭.৬৮ টাকা। অশোধিত তেলের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তেল সচিব তরুণ কপূর বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি তেল শোধন সংস্থাগুলিকে নিয়ে ভারত একটি গোষ্ঠী গড়ছে। যারা বিশ্ব বাজার থেকে তেল কেনার সময় আরও ভাল চুক্তির দাবি তুলবে, যৌথ ভাবে দাম নিয়ে দর কষাকষি করবে। যে ভাবে এর আগে ইরানের তেলে বড় মাপের ছাড় আদায় করা হয়েছে।
সোমবার সরকারি সূত্রের দাবি ছিল, চাহিদার চেয়ে জোগান কম, এই অভিযোগ তুলে রফতানিকারী দেশগুলিকে অশোধিত তেলের দাম কমাতে বলেছে ভারত। অর্থনীতিতে তেলের ধাক্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দাম ৬৫-৭০ ডলারের মধ্যে থাকার পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র। ফলে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে এই বৈঠকটি।
মোদীর ভিডিয়ো-বৈঠক হবে সন্ধ্যে ছ’টায়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, তেলের বিকল্প জ্বালানিই সেখানে গুরুত্ব পাবে। তবে ‘ভারতে হাইড্রোকার্বন’ নির্ভর প্রচলিত জ্বালানির খনন ও উত্তোলনের প্রসঙ্গও থাকবে। তেল-গ্যাস ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কথা হবে। খতিয়ে দেখা হবে ভারতের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে জোট বাঁধা ও লগ্নির সম্ভাবনাও।