Inflation

উদ্বেগ পাইকারি বাজারেও

সংখ্যার বিচারে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক হার তেমন চড়া নয়। তবে সেটা প্রধানত এই মূল্যসূচকের হিসাবে খাদ্যপণ্যের অংশীদারি কম (প্রায় ১৫%) বলে। বেশি গুরুত্ব পায় কারখানায় তৈরি জিনিসের দর-দাম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৭:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আশঙ্কাই সত্যি হল। তাপপ্রবাহের জেরে পাইকারি বাজারে গত বছরের তুলনায় বিপুল চড়ে গেল খাদ্যপণ্যের দাম। মে মাসে তার মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছল ১০ শতাংশের কাছে (৯.৮২%)। ১০ মাসে সর্বোচ্চ। শুধু আনাজের দামই বেড়েছে ৩২.৪২% হারে। তার মধ্যে আলুর মূল্যবৃদ্ধি ৬৪ শতাংশের বেশি, পেঁয়াজ প্রায় ৫৮%। ধান, অন্যান্য শস্য, ডাল-সহ অনেক কিছুই আশঙ্কাজনক ভাবে দামি হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৪ মাস পরে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এত দিন দাম কমতে থাকা কারখানায় তৈরি সামগ্রীরও। কাঁচামালের খরচ বৃদ্ধি যার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। আর এই সব কিছু ১৫ মাসের মধ্যে সব থেকে উঁচুতে ঠেলে তুলেছে পাইকারি বাজারের সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিকে। গত মাসে তা দাঁড়িয়েছে ২.৬১%।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সংখ্যার বিচারে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক হার তেমন চড়া নয়। তবে সেটা প্রধানত এই মূল্যসূচকের হিসাবে খাদ্যপণ্যের অংশীদারি কম (প্রায় ১৫%) বলে। বেশি গুরুত্ব পায় কারখানায় তৈরি জিনিসের দর-দাম। ফলে খাদ্যপণ্য দেশ জুড়ে যে উদ্বেগ তৈরি করছে, তার পুরোটা সার্বিক পরিসংখ্যানে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তাঁদের অনেকেরই মতে, ধাক্কা টের পাওয়া যাবে আগামী দিনে খাদ্যপণ্যের পাইকারি দর খুচরো দামকে আরও বাড়িয়ে দিলে। তখন তা সরাসরি সাধারণ মানুষের খরচ বাড়াবে। এমনিতেই বাজার করতে গিয়ে এখনও অনেকের হাত পুড়ছে। যে কারণে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি একটু নামলেও খাদ্যপণ্যে তা ৮ শতাংশের উপরে। আনাজ, চাল-ডালের মতো নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন খাবারের দাম চড়া।

অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির এই মাথা তোলা, বিশেষত খাদ্যপণ্যের বিপুল দাম বেড়ে যাওয়ার হার ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী দিনে খুচরো বাজারের দামে কেমন চাপ আসতে চলেছে। খাবারদাবারের দাম কমার কোনও ইঙ্গিত নেই কোথাও। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে পারে। কাজেই যত দিন না খাদ্যপণ্য সস্তা হয়ে মূল্যবৃদ্ধিকে টেনে নামাচ্ছে, তত দিন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর রাস্তায় হাঁটবে না। এর আবার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে শিল্পোৎপাদন-সহ সার্বিক ভাবে অর্থনীতির উপর। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের দাবি, ‘‘তাপপ্রবাহ আর বর্ষার আসতে দেরি হওয়া দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সহজে মেটার নয়। তার উপরে রয়েছে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামে অনিশ্চয়তা। ফলে মূল্যবৃদ্ধি চিন্তা বাড়াতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement