ছবি: সংগৃহীত।
মলদ্বীপের জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ কমানো হল অন্তর্বর্তী বাজেটে। বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবে বন্ধু দেশগুলিকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই মলদ্বীপের জন্য অর্থ বরাদ্দের পরিমাণে দেখা যায়, প্রায় ২২ শতাংশ কাটছাঁট হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই বিদেশি বন্ধুদের সাহায্যের খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫, ৬৬৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। তবে কাটছাঁটের পরেও মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেখে বিস্মিত অনেকেই। যে দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছুদিন আগে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল, সেই মলদ্বীপের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভারত! তবে তারা সর্বোচ্চ সাহায্যপ্রাপ্ত দেশ নয়।
ভারত সব মিলিয়ে ১০ টি দেশকে রেখেছে সাহায্য তালিকায়। এর মধ্য়ে মলদ্বীপ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপাল। সাহায্য বাবদ ভারতের এই বন্ধু রাষ্ট্রের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভারত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে নানা ভাবে জড়িত ছিল এই নেপাল। তবে তাদের বরাদ্দ মলদ্বীপের থেকেও কম। বরাদ্দের হিসাবে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মায়ানমার (৩৭০ কোটি) এবং মরিসাস (৩৩০ কোটি টাকা)। আর এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ভূটান।
বিদেশি বন্ধুদের সাহায্য বাবদ ভারতের মোট বরাদ্দের প্রায় অর্ধেকই রাখা হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই প্রতিবেশী দেশের জন্য। ভূটান সাহায্য বাবদ ভারতের থেকে পেতে চলেছে ২৩৯৮ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে অবশ্য ১৬১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা ভূটানকে ঋণ হিসাবে দিচ্ছে ভারত।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের বিদেশি বন্ধুদের সাহায্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খাতে ৫৮৪৮ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। তবে এই বাজেট পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়। তা-ই ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর জুলাই মাসে নতুন সরকার যে বাজেট পেশ করবে তাতে এই অঙ্ক বদলাতেও পারে। আপাতত ভারতের সাহায্যের তালিকায় থাকা বাকি পাঁচ বন্ধু দেশ হল—
১. অফগানিস্তান— ২২০ কোটি টাকা।
২. বাংলাদেশ— ১৩০ কোটি টাকা।
৩. শ্রীলঙ্কা— ৬০ কোটি টাকা।
৪. সিসিলিস— ৯.৯১ কোটি টাকা।
৫. মঙ্গোলিয়া— ৫ কোটি টাকা।