প্রতীকী ছবি।
জরুরি পরিষেবা হলেও লকডাউনে রাজ্যে বন্ধ ছিল অধিকাংশ ডাকঘর। চিন্তা দানা বেঁধেছিল এপ্রিল পড়লে প্রবীণরা পেনশন তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। ডাক বিভাগ অবশ্য আশ্বাস দেয় অবস্থা সামলাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়ার। সেই অনুযায়ী শুক্রবার দরজা খুলল রাজ্যের আরও বেশ কিছু ডাকঘরের। বহু পেনশনপ্রাপক টাকা তুলেছেন ঠিকই। তবে ডাক বিভাগের কর্তাদের দাবি, পরিকল্পনা মাফিক ৮০ বছরের বেশি বয়সি ও বহু অসুস্থ মানুষের বাড়িতে গিয়ে পেনশন পৌঁছেও দিয়েছেন তাঁদের কর্মীরা। ৪৭টি প্রধান ডাকঘর ছাড়াও এ দিন রাজ্যে খোলা ছিল এক হাজারের বেশি ডাকঘর।
ডাক বিভাগের (ওয়েস্টবেঙ্গল সার্কল) চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য জানান, ডাক কর্মী ও তাঁদের পরিবার ছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের পেনশনও রয়েছে ডাকঘরে। তাঁর দাবি, ডাক কর্মীরা এ দিনই তালিকায় নাম থাকা সব অসুস্থ ও অতি প্রবীণকে টাকা পৌঁছতে পারেননি। শনিবার বাকিরা পাবেন। ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ়ের সম্পাদক (পশ্চিমবঙ্গ শাখা) জনার্দন মজুমদার জানান, পোস্টম্যান ও গ্রামীণ ডাকসেবক ছাড়াও কোথাও কোথাও ক্লার্ক, পোস্টমাস্টার, ডিভিশনাল সুপাররাও পেনশনাপ্রাপ্তদের বাড়ি গিয়েছেন। পাশাপাশি ওযুধ ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহেও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক কর্তৃপক্ষ।