প্রতীকী ছবি।
বর্তমানে চালু থাকা আইনে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ বণ্টন ক্ষেত্রের পুনরুজ্জীবনের জন্য সংস্কারমুখী প্রকল্প আনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বলেছিল, সে জন্য একগুচ্ছ ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ (সেগুলি কার্যকর করার পরিকল্পনা) তৈরি করতে হবে রাজ্যগুলিকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ বার দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্তমান আইনের আওতাতেই থাকা অতীতের সেই প্রকল্পটির খসড়া তৈরি করে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) জমা দেওয়ার জন্য আট সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের ওয়ার্কিং (কার্যকরী) কমিটি গঠন করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ওই সূত্রের দাবি, আয় এবং খরচের মধ্যে বণ্টন সংস্থার মাসে বর্তমানে ঘাটতির অঙ্ক প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়ণ করলে এবং রাজ্য তার প্রাপ্য ভাগ পেলে বণ্টন সংস্থার আর্থিক অবস্থার কিছুটা অন্তত উন্নতি হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হচ্ছে তারা।
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বণ্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পই চলে। সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান-ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) শান্তনু বসু ওই কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্থার ডিরেক্টর (মানব সম্পদ) সুজয় সরকার ওই কমিটির চেয়ারম্যান। অন্য আরও সাত পদস্থ কর্তা বাকি সদস্য।
সংশ্লিষ্ট নির্দেশে সিএমডি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের ওই প্রকল্পটির আওতায় মিটার এবং বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামোর বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিটিকে। আগামী ৩০ অগস্টের মধ্যে সেটি সম্পূর্ণ করার জন্য খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এর পরে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট নোডাল এজেন্সিকে।
তবে সেটি জমা দেওয়ার আগে অ্যাকশন প্ল্যান এবং ওই রিপোর্টে রাজ্য মন্ত্রিসভার কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে নতুন তৈরি কমিটিকে।