Toy Manufacturing Industry In West Bengal

খেলনা পার্ক গড়তে শিল্প-রাজ্য কথা

শনিবার বণিকসভা আয়োজিত দু’দিনের খেলনা শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনে এসে সে জন্য সব রকম সহযোগিতার বার্তা দিলেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০০
Share:

হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় টয় পার্ক গড়া নিয়ে শিল্প ও সরকারের মধ্যে কথা শুরু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

চিন থেকে খেলনা আমদানি প্রায় বন্ধ হওয়ার সুযোগে পশ্চিমবঙ্গে এই শিল্পের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য ও বণিকসভা ভারত চেম্বার। সেই লক্ষ্যে হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় টয় পার্ক গড়া নিয়ে শিল্প ও সরকারের মধ্যে কথা শুরু হয়েছে। শনিবার বণিকসভা আয়োজিত দু’দিনের খেলনা শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনে এসে সে জন্য সব রকম সহযোগিতার বার্তা দিলেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। বললেন, কলকাতা-সহ বিভিন্ন স্থানে খেলনা পার্ক গড়তে চায় রাজ্য।

Advertisement

ইতিমধ্যেই তারাতলায় একটি ছ’তলা বাড়িতে ১.৮ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গায় খেলনা পার্ক গড়েছে সরকার। তবে ভারত চেম্বারের টয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান অক্ষয় বিন্‌জ্রাজ্‌কা বলেন, “এখানে আগে দু’টি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার। প্রথমত, রাজ্য পাঁচ বছরের জন্য লিজ়ে জায়গা দিতে চায়। আমরা চাই ২০ বছরের লিজ়। ভাড়ার অঙ্ক নিয়েও বক্তব্য আছে। প্রদর্শনী শেষ হলে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’ ফয়সালা হলে ৪০টি সংস্থা সেখানে কারখানা গড়তে রাজি বলেও জানান তিনি। দাবি করেন, প্রথম ধাপে কমপক্ষে ৭৫ কোটি টাকা লগ্নি হবে।

পাশাপাশি এ দিন হাওড়ায় খেলনা পার্ক গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বণিকসভার সভাপতি এন জি খেতান। তিনি বলেন, হাওড়া সড়ক ও বন্দরের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে কিছু কারখানা আছে। তবে উপযুক্ত পরিকাঠামো-সহ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে (পার্ক) সংস্থাগুলিকে জায়গা দিলে উৎপাদন দ্রুত বাড়তে পারে। ওই অঞ্চলে কারখানা গড়তে বহু উদ্যোগপতিও আগ্রহী বলে জানান তিনি। আর অক্ষয় বলেন, খেলনা পার্ক গড়তে বালি স্টেশনের কাছেও একটি জায়গায় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা চলছে। তা ছাড়া আসানসোলে ৩০ একর জমি পাওয়া যেতে পারে বলে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁদের জানিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, এক সময়ে দেশে খেলনার চাহিদার ৯০ শতাংশই আমদানি হত। বেশির ভাগটা আসত চিন থেকে। খেতানের দাবি, কেন্দ্রের পদক্ষেপের ফলে গত ছ’বছরে আমদানি নেমেছে ২ শতাংশে। তৈরি হয়েছে কয়েক হাজার খেলনা কারখানা। এ রাজ্যে ছোট সংস্থার হাত ধরে গড়ে উঠেছে ৫০০টি। যাদের মোট ব্যবসা ৫০০০ কোটি টাকার। চার বছরে ভারতের খেলনা রফতানি বেড়েছে প্রায় ২৪%।

খেতান জানান, এই শিল্পের প্রসারে ভারত টয় অ্যাসোসিয়েশন নামে সংগঠন গড়েছেন তাঁরা। মোট ৭৫০ জন সদস্য রয়েছেন। রাজ্য থেকে রয়েছেন ৩৫০ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement