বাগডোগরা বিমান বন্দর। —ফাইল চিত্র।
প্রায় ১১ বছর পরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান জ্বালানিতে (এটিএফ) ১২.৫% ভ্যাট ফিরিয়ে আনল রাজ্য। ১ অগস্ট থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। ফলে সেখান থেকে জ্বালানি কিনতে উড়ান সংস্থাগুলিকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। এর জেরে বাগডোগরাকে ঘিরে বিমানের টিকিটের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি উড়ানের সংখ্যাও কমার আশঙ্কা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই রোজ ৯ জোড়া বিমানের যাতায়াত কমেছে সেখানে। পর্যটন ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন সংগঠন।
এটিএফে ভ্যাট না থাকায় এত দিন বহু সংস্থা বিমানে জ্বালানি ভরাত বাগডোগরা থেকে। কিন্তু কম খরচের সেই সুবিধা উঠে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে, মুম্বই, আমদাবাদ, দিল্লির সরাসরি বিমান কমছে। এত দিন যে টিকিটের দাম ৬০০০-৮০০০ টাকা ছিল, তা ১৪,০০০-১৬,০০০ ছুঁয়েছে। ফলে পুজোর মুখে পর্যটন ধাক্কা খেতে পারে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভ্যাট তোলার দাবি জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে বিমান মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনারও অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের সচিব পর্যায়ের আধিকারিক রবিবার জানান, ২০১৩-এ মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরা থেকে এটিএফের ভ্যাট মকুব করেছিলেন। তাতে বাগডোগরা কার্যত বিমানের ‘পেট্রল পাম্পে’ পরিণত হয়। তাঁর কথায়, সরকার সারা জীবন ছাড় রাখবে— এটাও ভাবা ঠিক নয়।
বিজেপি এ নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করতে শুরু করেছে। দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার দাবি, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রতি মনোভাব স্পষ্ট করে দিল রাজ্য।’’ তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের অন্যতম এক নেতার পাল্টা, ‘‘তেলটা সেতু ভাঙা, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, রেলের ডবল লাইনের কাজে বিমানের ভাড়া আকাশ ছুঁয়েছে। সে সময় কোনও সাংসদের হুঁশ ছিল না!’’