প্রতীকী ছবি
স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ কাঁধে বিপুল বকেয়া। রয়েছে ব্যবসায় বড় অঙ্কে ক্ষতির বোঝাও। এই অবস্থায় সম্প্রতি বাজার থেকে ২৫,০০০ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়া (ভিআইএল)। এ বার দুই সংস্থার চূড়ান্ত সংযুক্তির ফলে তৈরি নতুন ব্র্যান্ডের (ভি) কথাও সোমবার জানাল তারা। ভিআইএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চললেও এ দিন দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা পরোক্ষে হলেও নতুন পথে পা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংস্থা জানিয়েছে, বাজার থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পুঁজি সংগ্রহের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমতি চাওয়া হবে।
অন্য দিকে, এয়ারটেলের কর্ণধার সুনীল মিত্তলের মতো ভিআইএলের এমডি তথা সিইও রবীন্দ্র টক্করও মাসুল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট ১০ বছর সময় দেওয়ায় তাঁরা খুশি। ইতিমধ্যে চলতি অর্থবর্ষের ১০% বকেয়া মেটানোও হয়েছে। কিন্তু নতুন পুঁজি আসবে কোথা থেকে? দুই সংস্থার প্রোমোটারেরা লগ্নি করবে, নাকি তারা অংশীদারি বিক্রি করবে? রবীন্দ্রের বক্তব্য, এই প্রশ্নের উত্তর তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে মাসুল বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে তাঁর দাবি, নিয়ন্ত্রক ট্রাই-ও ন্যূনতম মাসুল স্থির করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। গ্রাহক পিছু মাসুল আপাতত ২০০ টাকা ও পরে ৩০০ টাকা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ভিআইএলের চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লা ও ভোডাফোন গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্তা নিক রিড এ দিন জানান, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশীদার হতে চান তাঁরা।