প্রতীকী চিত্র
আপনি কি গোপালস ৫৬ থেকে মশলাদার ছোলা বাটোরে আর্ডার করতে চান? দাম মাত্র ৬০ টাকা। কিন্তু দাঁড়ান, আপনি কি জোম্যাটো থেকে অর্ডার করছেন নাকি? তাহলে পড়বে ৮০ টাকা! বাসন্ত সুইটস থেকে বিখ্যাত সেই স্পেশাল থালি? দাম পড়বে ১৫০ টাকা। না না, যদি সুইগি থেকে করেন তবে পড়বে ১৭৫ টাকা।
দুটি দোকানই দিল্লিতে। তবে এই অভিজ্ঞতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেরই হচ্ছে বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁয় যা দাম অনলাইনে অর্ডার দিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা, যা হওয়ার কথা নয়।দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫ থেকে ৫০ বা তারও বেশি টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছে সুইগি বা জোম্যাটো। এই দামের তারতম্য রেস্তরাঁ বা খাবারের অর্ডারের ওপর নির্ভর করবে।
মজার বিষয় হল, এইযে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা ক্রেতারা জানতেই পারছেন না। কিন্তু আপনি যদি গুগলে গিয়ে ওই রেস্তরাঁর সাইটে খাবারগুলির দাম দেখেন সেখানে এক রকম দেখাচ্ছে। যেই অনলাইন অর্ডার অপশনে ক্লিক করবেন, খাবারের দাম আপনাআপনি বেড়ে যাবে।
বহু বড় বড় রেস্তরাঁ রয়েছে, যারা জোম্যাটো বা সুইগিদের মোটা কমিশন দিতে রাজি নয়। অভিযোগসেই ঘাটতি ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিয়ে পুষিয়ে নিচ্ছে তারা।এক্ষেত্রে প্রায় ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা অতিরিক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে আপনার পকেট থেকে।
আরও পড়ুন : মার্কিন সীমান্ত পেরতে গিয়ে ফের শিশুর মৃত্যু, মনে করাল আইলানকে
আরও পড়ুন : কাক না গরিলা? চূড়ান্ত বিভ্রান্তি সোশ্যাল মিডিয়ায়
এই অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়টি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে হচ্ছে। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ যখনই এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্গেত দিচ্ছে, তখনই ইচ্ছে মতো দাম চাপাচ্ছে সুইগি বা জোম্যাটো।
কিন্তু এতে দোষের কী? আসলে যখন কোনও খাবারে ‘সর্বাধিক বিক্রি মূল্য’ লেখা হচ্ছে না তখন আইনের দিক থেকে কোনও বাধা থাকছে না। কিন্তু যখন সর্বাধিক বিক্রি মূল্য বা ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইসের থেকেও বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে, তা অনৈতিক। আর কোন ক্ষেত্রে কত টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে, কেন নেওয়া হচ্ছে, তা বিস্তারিত জানানো উচিত ক্রেতাকে।
যদিও একটি বাণিজ্য খবরের ওয়েবসাইটকে জোম্যাটো জানিয়েছে, তারা অতিরিক্ত টাকা নেয় না। সেরা দমটাই ক্রেতাদের দেওয়ার চেষ্টা করেন। সুইগি এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।