তিন মাসে দু’লক্ষ ছাঁটাই, ত্রাণ চাইছে শিল্প

দেশে ১৫ হাজার গাড়ি ডিলারদের প্রায় ২৬ হাজার শোরুম আছে। যেখানে প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করেন প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ। আর পরোক্ষে আরও প্রায় ২৫ লক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দেশ জুড়ে নাগাড়ে বিক্রি কমছে গাড়ির। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, গত তিন মাসে (মে, জুন, জুলাই) শুধু ডিলারদের ব্যবসাতেই প্রায় দু’লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন বলে দাবি তাদের সংগঠন ফাডার। একাংশের আশঙ্কা, দ্রুত পরিস্থিতি শোধরানো দূর অস্ত্‌, আগামী দিনে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হতে পারে আরও বহু গাড়ির শোরুম। ফলে বাড়তে পারে ছাঁটাইয়ের সংখ্যাও। সমস্যা সামাল দিতে তাই অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ফাডা। আর্জি জানিয়েছে, জিএসটি কমানোর মতো ত্রাণ প্রকল্পের। এর আগে এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ মাসে ২৭১টি শহরে প্রায় ২৮৬টি শোরুম বন্ধ হওয়ার জেরে চাকরি হারান প্রায় ৩২,০০০ কর্মী।

Advertisement

উল্লেখ্য, দেশে ১৫ হাজার গাড়ি ডিলারদের প্রায় ২৬ হাজার শোরুম আছে। যেখানে প্রত্যক্ষ ভাবে কাজ করেন প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ। আর পরোক্ষে আরও প্রায় ২৫ লক্ষ।

ফাডার প্রেসিডেন্ট আশিস হর্ষরাজ কালের দাবি, চাহিদার অভাবে কোপ পড়ছে বিক্রিতে। এতটাই যে, গাড়ির খুচরো বিক্রেতাদের খরচ কমানোর শেষ উপায় হিসেবে কর্মী ছাঁটার পথেই হাঁটতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ ডিলার ৭%-৮% কমিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এখন সরাসরি ক্রেতাদের গাড়ি বেচেন, এমন কর্মী কমাচ্ছেন ডিলাররা। তবে অর্থনীতির শ্লথ গতি বহাল থাকলে কারিগরি কাজে জড়িতরাও রেহাই পাবেন না। কারণ, যদি কম গাড়ি বিক্রি করি, তবে পরিষেবাও কম দিতে হবে।’’

Advertisement

পরিস্থিতি কতটা সঙ্গীন তা ব্যাখ্যা করে মুম্বইয়ের শহরতলিতে মারুতি-সুজুকির ডিলার সংস্থার জিএম সুধীর ঘারপুরে বলছেন, আগে যেখানে দিনে ১৫-২০টি বুকিং হত, এখন খুব বেশি হলে তা ৩-৫টি। অনেকের মতে, দু’দশকে গাড়ি শিল্প এমন ধাক্কা খায়নি। তাঁদের দাবি, এ জন্য অ্যাপ ক্যাব সংস্থার রমরমা বা গাড়িতে উঁচু হারে জিএসটি বসা তো দায়ী বটেই। তবে সব থেকে বেশি আঘাত এসেছে নগদের অভাবে জর্জরিত ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) ঋণ দেওয়া কমায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement