আমেরিকার জোগান বৃদ্ধির পদক্ষেপে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ইতিমধ্যেই ১০৪ ডলারে নেমেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে যা ১৩৯ ডলারে উঠেছিল ও প্রায় এক মাসের উপর বেশিরভাগ সময় ধরে ১০০ ডলারের বেশিই থেকেছে।
প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া যখন অনেক কম দামে ভারতকে অশোধিত তেল দিতে চাইছে, তখন বিশ্ব বাজারে দাম কমাতে পদক্ষেপ করল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, ছ’মাস ধরে তাঁদের মজুত ভান্ডার থেকে দিনে ১০ লক্ষ ব্যারেল তেল ছাড়া হবে। আপৎকালীন ভান্ডার থেকে এত বেশি তেল এর আগে কখনও ছাড়েনি আমেরিকা। সূত্রের দাবি, জ্বালানির দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইডেন কতটা মরিয়া, এর থেকে স্পষ্ট। এ দিকে শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের সদস্য দেশগুলি বাজারে তেলের জোগান আরও বাড়াতে রাজি হয়েছে। তবে তার পরিমাণ জানায়নি তারা। বলেছে, আগামী সপ্তাহে তা সামনে আনা হবে।
আমেরিকার জোগান বৃদ্ধির পদক্ষেপে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ইতিমধ্যেই ১০৪ ডলারে নেমেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরে যা ১৩৯ ডলারে উঠেছিল ও প্রায় এক মাসের উপর বেশিরভাগ সময় ধরে ১০০ ডলারের বেশিই থেকেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে জ্বালানির চড়া দর পণ্যের দামকে কোন পর্যায় ঠেলে তুলতে পারে, সেই আশঙ্কায় এই মুহূর্তে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের খবর, এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে মূল্যবৃদ্ধি ফের রেকর্ড উচ্চতায়। মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহারকারী ১৯টি দেশে তা ছুঁয়েছে ৭.৫%। জ্বালানির খরচ ৪৪.৭% বৃদ্ধিই যার কারণ। সেই খাতে খরচের ধাক্কায় আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।