ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টকে কিনে নিতে পারে মার্কিন খুচরো বিক্রেতা (রিটেল) ওয়ালমার্ট— এই জল্পনা ছড়াতেই ঘরের মাঠে বিক্ষোভের মুখে পড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আরএসএসের সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ তো বটেই, বিজেপির ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-ও (সিএআইটি) নামল এর বিরোধিতায়। হুমকি দিল বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার।
ওয়ালমার্ট যে ফ্লিপকার্টের মালিকানা হাতে নিতে চায়, তা শোনা যাচ্ছে বহু দিন থেকেই। কোনও সূত্রে খবর, ভারতীয় সংস্থাটির ৭২-৭৩% শেয়ারের জন্য ১,২০০ কোটি ডলার (৮০ হাজার কোটি টাকা) ঢালতে তৈরি তারা। কখনও শোনা যাচ্ছে ৭৫% মালিকানা তারা কিনছে ১,৫০০ কোটি ডলারে। যে জল্পনাকে তুঙ্গে তুলে দু’দিন আগে ছোট অংশীদারের থেকে ৩৫ কোটি ডলারে (২,৩৪৫ কোটি টাকা) নিজেদের ১৮ লক্ষ শেয়ার কিনে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্লিপকার্ট।
তার পরেই স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ এই চুক্তি আটকাতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানায়। তাদের নেতা অশ্বিনী মহাজনের অভিযোগ, ই-কমার্সে এ ভাবে ঘুরপথে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি আসা কার্যত আইন ভাঙার সামিল। রবিবার সিএআইটি-র প্রধান প্রবীণ খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘ভারতে বিদেশি লগ্নির স্পষ্ট নিয়ম আছে। তা সত্ত্বেও ফাঁক গলে ঢোকার চেষ্টা করছে বিদেশি সংস্থা। ওয়ালমার্টের মতো সংস্থা খুচরো ব্যবসায় ঢুকতে না পেরে ই-কমার্সের মাধ্যমে পা রাখতে মরিয়া। অথচ কেন্দ্র সব জেনেও চোখ-কান বন্ধ রাখছে।’’
মহাজনের দাবি, বিদেশি সংস্থা দেশীয় প্রতিযোগিতা শেষ করবে। মার খাবে ছোট খুচরো ব্যবসাও। খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘এ নিয়ে দরকারে আদালতে যাব।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করুক। তারা চুক্তি যাচাই করে তবেই সংস্থা দু’টিকে এগোনোর অনুমতি দিক।