economy

অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত

বিশেষ করে হোটেল, পর্যটন বা ছোট- মাঝারি শিল্পের সংস্থাগুলি। ফলে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির ভয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২১ ০৬:৩১
Share:

— ছবি সংগৃহীত

করোনার আবহে ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়বে কি না কিংবা বাড়লে কতটা বিপজ্জনক হারে বাড়বে, সেই চিন্তা বহু দিন ধরেই উদ্বেগে রেখেছে গোটা দেশকে। এই অবস্থায় বণিকসভা ফিকি এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) এক যৌথ সমীক্ষায় ইঙ্গিত, অতিমারির মধ্যে দাঁড়িয়েও গত বছরের শেষ ছ’মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সম্পদের মানে যে উন্নতি দেখা গিয়েছিল, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে (জানুয়ারি-জুন) তা উধাও হতে বসেছে। বাড়তে চলেছে অনুৎপাদক সম্পদ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এই রিপোর্ট।

Advertisement

অতিমারি চাহিদা কেড়ে নেওয়ায় এবং তাকে রুখতে লকডাউনে দীর্ঘ দিন সব বন্ধ থাকায় অনেক সংস্থা এতটাই ব্যবসা খুইয়েছে যে, তাদের কারও কারও ধার শোধের অবস্থা নেই। বিশেষ করে হোটেল, পর্যটন বা ছোট- মাঝারি শিল্পের সংস্থাগুলি। ফলে অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির ভয় তৈরি হয়েছে। ফিকি-আইবিএর রিপোর্টও এই সব
শিল্পে অনুৎপাদক সম্পদ তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্যাঙ্কিং মহলের দাবি, এর জেরে ব্যাঙ্কগুলি ধার দেওয়া কমালে, শিল্পে পুঁজির জোগান বাধা পাবে। যা উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করলে ভুগবে অর্থনীতি।

ওই সমীক্ষা চালানো হয় যে ২০টি ব্যাঙ্ককে নিয়ে, তারাই দেশে ব্যাঙ্ক শিল্পের ৫৯% দখল করে আছে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, তাতে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ৭৮ শতাংশই বলেছে ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অনুৎপাদক সম্পদ কমেছে। কিন্তু ৬৮% মনে করে জুন পর্যন্ত ছ’মাসে তার হার ১০% ছাড়াতে পারে। ৩৭ শতাংশের আশঙ্কা ১২% হওয়ার। জানুয়ারিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টও বলেছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুৎপাদক সম্পদ ১৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement