কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ালে তারা ঋণের সুদ যে গতিতে বাড়ায়, সেই গতিতে আমানতের সুদ বাড়ায় না। ব্যাঙ্কিং মহলের খবর, ইদানীং ঋণ বৃদ্ধির হারের সঙ্গে আমানত সংগ্রহ পাল্লা দিতে পারছে না। কারণ সেই নিচু সুদ। এ বার তহবিল সংগ্রহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে নতুন ধরনের ও আকর্ষণীয় আমানত প্রকল্প আনতে বললেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আজ ওই সমস্ত ব্যাঙ্কের এমডি-সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি এবং গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি রোখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক আধিকারিকের ওই সমস্ত কার্যকলাপের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত কয়েক মাস ধরে ঋণ বৃদ্ধি ও আমানত বৃদ্ধির হারের পার্থক্য ৩%-৪%। সেই ফারাক কমানোর জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব বরোদা বিভিন্ন আমানত প্রকল্পে সুদের হার বাড়িয়েছে। আবার সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর স্বামীনাথন জে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ফের নিচু সুদের জমানার দিকে পা বাড়ালে কিন্তু পুরনো আমানত প্রকল্পগুলির জন্য বেশি খরচ গুনতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি কী ভাবে এই দুই দিক বজায় রাখে সেটাই দেখার।
আজকের বৈঠকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির পাশাপাশি কর্পোরেট সংস্থার বড় অঙ্কের ঋণখেলাপি প্রতিরোধের কথাও বলেছেন নির্মলা। জানিয়েছেন, ঋণ মঞ্জুরের আগে নথি পরীক্ষা-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে হবে। জাতীয় সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থার (এনএআরসিএল) মাধ্যমে আরও এনপিএ ফেরানোয় জোর দিতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী।