কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রতি মুহূর্তে তৎপর বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বললেন, দাম বাড়লেই পদক্ষেপ করতে কালক্ষেপ করেন না তাঁরা। যে কারণে কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও দেশে মূল্যবৃদ্ধিকে ৬% বা তার নীচে বেঁধে রাখা গিয়েছে। তবে যে সব আমদানি পণ্যের দাম কমানো যায় না, সেগুলিতে কেন্দ্র ভর্তুকি দেওয়ার চেষ্টা করে। যেমন অশোধিত তেল, রান্নার গ্যাস। নির্মলার কথায়, ‘‘সেটা (ভর্তুকি) হয়তো যথেষ্ট নয়, তবে ভর্তুকি দেওয়ার চেষ্টা করি।’’
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, ইউপিএ জমানায় রান্নার গ্যাস যখন হাজার টাকা ছড়িয়েছিল, তখন ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪২০ টাকা। বাকি প্রায় ৬০০ টাকা ভর্তুকি মিলত। গ্যাসের দাম যখন ১২০০ ছাড়ায়, তখন ভর্তুকি ছিল প্রায় ৮০০ টাকা। এখন ফের হাজারের বেশি। কিন্তু ভর্তুকি প্রায় কোথাও নেই। কলকাতায় মাত্র ১৯.৫৭ টাকা। তা হলে নির্মলা ভর্তুকি দিলেন কই?
অর্থমন্ত্রীর অবশ্য বার্তা, সাধারণ নাগরিকের কষ্ট কমাতে কেন্দ্র দাম নিয়ন্ত্রণে স্বল্প ও দীর্ঘকালীন পদক্ষেপ করে। তবে ভারতে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে না। মাত্রাছাড়া দাম আমদানি পণ্যের। তাঁর কথায়, ‘‘এই মূল্যবৃদ্ধি কি আমার? কিন্তু সেই দাম আমাকেই আঘাত করছে। এবং সেখানে আমাকে সহায়তা দিতেই হবে।’’ তাঁর মন্তব্য, দাম বাড়লে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে ময়দানে নামেন তাঁরা। শীর্ষ ব্যাঙ্ককে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু আমদানি পণ্যে সেটা করা না গেলে ভর্তুকি দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্র। তার পরেই অশোধিত তেল ও রান্নার গ্যাসের উদাহরণ দেন। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অর্নিবাণ দত্ত বলেন, ‘‘ভর্তুকি লাগবে না। বরং বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমলে সেই সুবিধাটুক দেওয়া হোক দেশে। তা হলেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’