আর্থিক শৃঙ্খলার নানা মাপকাঠির মধ্যে থেকেও সামাজিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু শিল্পে লগ্নি টানা বা সার্বিক ভাবে আর্থিক বৃদ্ধির কোনও জোরালো বার্তা নেই এ বার। বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট দেখে এটাই বক্তব্য শিল্পমহলের একটা বড় অংশের। পাশাপাশি, ন্যূনতম বিকল্প কর (মিনিমাম অলটারনেটিভ ট্যাক্স) এবং কোম্পানি কর নিয়ে জেটলি কোনও আশার আলো না দেওয়াতেও দৃশ্যতই হতাশ তারা।
সামাজিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাড়তি জোর, ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহ, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে কর ছাড়-সহ বিভিন্ন প্রস্তাবকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে সিআইআই, ফিকি, বেঙ্গল চেম্বার, এমসিসি চেম্বার, ভারত চেম্বার, ইন্ডিয়ান চেম্বারের মতো বণিকসভা। কিন্তু চড়া বৃদ্ধির রাস্তায় হাঁটার জন্য এই বাজেটে তেমন কোনও জোরদার বার্তা নেই বলে একবাক্যে জানিয়েছে প্রায় সকলেই। সিআইআইয়ের পূর্বা়ঞ্চলের চেয়ারম্যান টি ভি নরেন্দ্রন, এমসিসি-র প্রেসিডেন্ট হেমন্ত বাঙ্গুর প্রমুখ কোম্পানি কর কিংবা ন্যূনতম বিকল্প কর সংক্রান্ত কোনও বার্তা না-পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। একই বক্তব্য আইসিসি-রও।
নোট বাতিলের ধাক্কার পরে দেশের বৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন ছিল সব মহলে। বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষায় সামান্য হলেও সেই ধাক্কার কথা মেনেও নিয়েছিল কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এ দিনের বাজেটে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর দিশা তেমন নেই বলেই দাবি বণিকসভাগুলির। সিআইআই-এর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম কর্তা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় যেমন বলছেন, ‘‘এটি শক্তিশালী বৃদ্ধির ইঙ্গিতবাহী নয়।’’ তাই ১০-এর মাপকাঠিতে বাজেটকে তিনি দিয়েছেন ৭ নম্বর। বণিকসভাটিতে তাঁরই সতীর্থ অলোক মুখোপাধ্যায় বাজেটে কোনও ‘উদ্দীপনা’ না-পাওয়ায় বড়জোর ৭.৫ নম্বর দিয়েছেন। আবার ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রাকেশ শাহ-র মতে, দেওয়া হয়নি বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিশেষ কোনও সুবিধাও।