অস্কার ব্রুজ়ো। ছবি: আইএসএল।
এ বারও হল না। স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। আইএসএলে খেলা শুরু করার পর থেকে এক বারও প্লে-অফে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বারও তাদের প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করার সম্ভাবনা নেই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অস্কার ব্রুজ়ো। শেষ তিনটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার গোয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ব্রাইসন ফের্নান্দেসের করা একমাত্র গোলে জেতে গোয়া। রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষে ব্রুজ়ো বলেন, “সেরা ছয়ে ওঠা কঠিন। আগেই বলেছিলাম, টানা তিনটে ম্যাচ না জিততে পারলে তা সম্ভব নয়। তাই এখন সেরা ছয়ের স্বপ্ন খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষা।”
গোয়ার কাছে হারের জন্য দলের রক্ষণকেই দায়ী করেছেন ব্রুজ়ো। তাঁর মতে, দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডারেরা নিজের কাজ করতে পারেননি। পাশাপাশি সুযোগ নষ্টের কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ব্রুজ়ো বলেন, “একটা সেটপিসে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কম উচ্চতার খেলোয়াড় আমাদের গোলকিপার ও সেন্টারব্যাকের মাঝখান দিয়ে গোল করে দিল, এটা ঠিক না। সারা ম্যাচে ২৮টা ক্রস করেছি আমরা। তার পরেও গোল পাইনি। এটাও কম হতাশাজনক নয়। পরিসংখ্যান দেখুন, প্রায় ১৫টা সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। তা সত্ত্বেও আমাদের স্ট্রাইকারেরা গোল করতে পারেনি। কারণ, ওদের রক্ষণ ভাল ছিল।”
প্লে-অফে ওঠার আশা না থাকলেও সম্মানের সঙ্গে মরসুম শেষ করতে চান ব্রুজ়ো। তার জন্য পরের ম্যাচগুলিতে ভাল ফুটবল আশা করছেন তিনি। ফুটবলারদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলছেন তিনি। ব্রুজ়োর কথায়, “আমরা এমন অবস্থায় রয়েছি, যেখানে আমাদের ড্র করলেও চলবে না। পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। তাই পরের ম্যাচগুলোতেও আমাদের সেই চেষ্টাই চালিয়ে যেতে হবে। যখন চোট সারিয়ে সবাই ফিরে আসবে, তখন নিশ্চয়ই আমরা আরও ভাল খেলব। গোয়াকে প্রথমার্ধে আমরা ভালই আটকে রাখতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রথম গোলটা হয়ে যাওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তার পরেও ৬০-৬৫ মিনিট ধরে গোলের চেষ্টা করেও গোল পাইনি।”
আইএসএলের স্বপ্ন শেষ হলেও এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তাই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছেন ব্রুজ়ো। তাঁর লক্ষ্য মরসুম ভাল ভাবে শেষ করা। ব্রুজ়ো বলেন, “চোট-আঘাতের কারণে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। তবে আজকের ম্যাচে কিছু ইতিবাচক দিক আছে। কয়েক জন খেলোয়াড় প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে। আমি নিশ্চিত, পুরো দল পেলে মরসুম ভাল ভাবেই শেষ করতে পারব। মার্চে আমাদের এএফসি ম্যাচও আছে। সেই কথাও মাথায় রাখতে হবে আমাদের।”