প্রতীকী ছবি।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিদাওয়া না মেটায় এ বার দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিল শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ৯টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। ১ ফেব্রুয়ারি আবার কেন্দ্রের সাধারণ বাজেট পেশ হবে সংসদে। ফলে ধর্মঘট হলে বাজেটের দিনও বন্ধ থাকবে সমস্ত ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি পর পর দু’দিনের ধর্মঘটের পরের দিন রবিবার হওয়ায় টানা তিন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন সাধারণ গ্রাহকরা।
১৩ জানুয়ারি মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ৯টি শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। কিন্তু, ওই দিন কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। বুধবার ফের বৈঠকে বসে দু’পক্ষ। কিন্তু এ দিনও কোনও সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় ধর্মঘটের ঘোষণা করে ইউনিয়নগুলি।
নিয়ম অনুযায়ী মাসের প্রথম ও তৃতীয় শনিবার ব্যাঙ্ক খোলা থাকে। বন্ধ থাকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার। ধর্মঘট হলে প্রথম শনিবারও বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ওই দিন বাজেট পেশ। শেয়ার বাজারও খোলা থাকবে। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোলা না থাকায় ব্যবসায়ীদের লেনদেনে ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। এটিএমও বন্ধ থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে সাধারণ গ্রাহকরাও সমস্যায় পড়তে পারেন।
বৈঠকে উপস্থিত ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলির নেতাদের সূত্রে খবর, তাঁরা দাবি জানিয়েছেন অন্তত ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন তাতে রাজি হয়নি। তাদের প্রস্তাব ছিল ১২.২৫ শতাংশ। ব্যাঙ্ক কর্মীদের যৌথ সংগঠনের নেতা সিদ্ধার্থ খান বলেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। আগামী ১ এপ্রিল থেকে আমরা অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটে যাব।’’