কেব্ল, ডিটিএইচ পরিষেবার মাসুল নীতি সংশোধনে আপত্তি তুলেছিল চ্যানেল সংস্থাগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং ফেডারেশন (আইবিএফ)। ইতিমধ্যেই তারা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সোমবার নিয়ন্ত্রক ট্রাই স্পষ্ট করে দিল, তারা চাপের মুখে পিছু হঠছে না। ফের পুরো সংশোধনীটি তুলে ধরে তারা জানিয়েছে, আগের বছরের নীতির কিছু নমনীয়তার অনৈতিক সুযোগ নিচ্ছিল পরিষেবা সংস্থাগুলি। যার ফলে ভুগতে হচ্ছিল গ্রাহকদের। সব দিক বিচার করে তাই নীতিতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। ১ মার্চ থেকেই তা কার্যকর হবে।
এ দিন ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা বলেছেন, ‘‘চ্যানেলের দাম নির্ধারণের স্বাধীনতাকে খর্ব করিনি। কিন্তু নীতির অন্যায় সুযোগ নেওয়া যাবে না।’’ বিবৃতিতে ট্রাই দাবি করেছে, গ্রাহকদের পছন্দের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হচ্ছিল না এই শিল্পের একাংশের অনিয়মের জন্যই।
গত বছর ট্রাইয়ের নতুন মাসুল নীতি চালু হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে, এমন ভাবে চ্যানেলের দাম ধার্য হচ্ছে, যে আলাদা ভাবে (আ-লা-কার্ট) চ্যানেলের বদলে বোকে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক গ্রাহক। সেই বোকেতে থাকছে কিছু অপছন্দের চ্যানেলও। যা ট্রাইয়ের মূল নীতি অনুযায়ী গ্রাহক স্বার্থের বিরোধী। এই যুক্তিতেই কিছু সংশোধনী এনেছে ট্রাই।