Import Duty Notifications

বিজ্ঞপ্তির ভাষা সরল করার পরামর্শ

ভারতে পণ্যের উপরে ভিত্তি করে আমদানি শুল্কের একাধিক হার (০%-১৫০%) চালু আছে। তার উপরে দেশে লক্ষাধিক সংস্থা পণ্য আমদানি করে। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬৬,০০০ কোটি ডলার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির ভাষা সরল করা জরুরি বলে মনে করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই। পরোক্ষ কর ও আমদানি শুল্ক পর্ষদের (সিবিআইসি) জারি করা এই সমস্ত বিজ্ঞপ্তির ভাষায় জটিলতার কারণে বহু ক্ষেত্রেই ছোট আমদানিকারী সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই উপদেষ্টাটির পরামর্শ, এ জন্য ভাষা বিশারদদের সাহায্য নিক সিবিআইসি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভারতে পণ্যের উপরে ভিত্তি করে আমদানি শুল্কের একাধিক হার (০%-১৫০%) চালু আছে। তার উপরে দেশে লক্ষাধিক সংস্থা পণ্য আমদানি করে। ২০২৩ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬৬,০০০ কোটি ডলার। জিটিআরআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, সিবিআইসি যে বিজ্ঞপ্তিতে বহু সময়েই অতীতের আইন বা তার সংশোধনীর উল্লেখ থাকে। যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে। তা ছাড়া আমদানি শুল্ক হিসাবের পদ্ধতিটিও জটিল। ফলে বহু আমদানিকারী, বিশেষত ছোট সংস্থা ওই হিসাব নিজেরা করে উঠতে পারে না। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হওয়ায় তাদের খরচ বাড়ে।

এ প্রসঙ্গে টেনিসের জুতোর উদাহরণ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। তাদের মতে, এই জুতো আমদানিকারী সংস্থাকে ৩৫% মূল আমদানি শুল্কের পাশাপাশি ৩.৫% সমাজকল্যাণ সেস এবং ১৮% জিএসটি দিতে হয়। সেই শুল্ক ও সেস যোগ করার ক্ষেত্রে আবার মানতে হয় বিশেষ পদ্ধতি। সেই হিসাবে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৬৩.৪৩%। সেই অঙ্কে পৌঁছনোর জন্য একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেখতে হয়, যার ভাষা অত্যন্ত জটিল। পণ্য এবং তার শুল্কের হার স্পষ্ট ভাবে লেখার পাশাপাশি শুল্ক সংক্রান্ত সব তথ্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করার পরামর্শও দিয়েছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement