ফাইল চিত্র।
এক দিকে আলো, কিন্তু অন্য দিকের আরও আঁধারে ডোবার আশঙ্কা। তলানিতে ঠেকা চাহিদাকে টেনে তুলতে সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নতুন দাওয়াই এক সঙ্গে দু’টি শিল্পের কাছে এমন দু’রকম বার্তাই যেন বয়ে আনল। এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেড়াতে যাওয়ার আর্থিক সুবিধার (এলটিসি) টাকা নগদে নেওয়ার প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। যাতে কেনাকাটা হয় বেশি। আর এতেই ব্যবসা হাতছাড়া হওয়ার সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিপর্যস্ত পর্যটন শিল্প। তবে খুচরো ব্যবসায়ীরা খুশি। বলছেন, উৎসবের মরসুমের মুখে হাতে টাকা পেয়ে কর্মীরা সত্যিই কেনাকাটা বাড়ালে লাভ হবে তাঁদের।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে হতাশ পর্যটন শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন্স ইন ইন্ডিয়ান টুরিজ়ম অ্যান্ড হসপিটালিটি। তাদের অভিযোগ, লকডাউনে বেহাল পর্যটন শিল্পে বহু কর্মীর চাকরি গিয়েছে। অনেকের বেতন কমেছে। পর্যটকদের অগ্রিম বুকিংয়ের টাকা ফেরাতে পারছে না বহু সংস্থা। লকডাউন ওঠার পরে অল্প-স্বল্প বেড়াচ্ছেন লোকে। উৎসবের মরসুমে আরও কিছুটা ব্যবসা ফেরার আশা ছিল। কেন্দ্র সাহায্য করলে অনেক কর্মী বেঁচে যেতেন। বদলে ভ্রমণের টাকা অন্য খাতে খরচের রাস্তা খোলায় আখেরে পর্যটন ধাক্কাই খাবে। এটা পর্যটনের প্রতি অনাস্থার বার্তা বলেও মনে করছেন একাংশ।
উল্টো দিকে, নির্মলার সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, বেড়ানোর টাকা অন্যত্র খরচ করতে পারলে, অনেকেই সেই সুবিধা নেবে। যা পণ্যের চাহিদা বাড়িয়ে এগিয়ে দেবে লকডাউনে ধাক্কা খাওয়া খুচরো সংস্থাগুলিকে।