ফাইল চিত্র।
অতিমারির তৃতীয় ঢেউ ফের পাঁচিল তুলেছে পর্যটন ব্যবসার পথে। সংক্রমণ রুখতে বিধি কার্যকরের প্রয়োজনীয়তা মানলেও, পর্যটন সংস্থাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এককালীন সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে তারা। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্সের (আইএটিও) আবেদন, বিদেশি পর্যটকদের শর্ত সাপেক্ষে ভারত ভ্রমণের নিয়ম কিছুটা শিথিল হোক। ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (টাব) বার্তা, সংক্রমণ রোখার পদক্ষেপ করেও বিকল্প ব্যবস্থায় ব্যবসার কিছুটা অন্তত চালু থাক। না-হলে আরও অনেকে রুজি হারাবে।
পর্যটন শিল্পের দাবি, করোনায় আগেই এক লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা উধাও হয়েছে। ভারতে বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যবসায় যুক্ত শিল্পের সংগঠন আইএটিও-র দাবি, তৃতীয় ঢেউ রুখতে আন্তর্জাতিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা বসায় ব্যবসা ফের সঙ্কটে। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রাজীব মেহরা-র আর্জি, ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে থাকলে এবং যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে এ দেশে সাত দিনের বিচ্ছিন্নবাস থেকে রেহাই দেওয়া হোক। কারও সংক্রমণের উপসর্গ না-থাকলে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকলে, তাঁকে বিমানবন্দরের বাইরে বেরিয়ে যাত্রা করতে দেওয়া হোক। তাতে সংস্থাগুলি কিছুটা অন্তত ব্যবসা পেয়ে বেঁচে থাকবে।
টাব-এর সেক্রেটারি অমিতাভ সরকার বলেন, সংক্রমণ রুখতে বিধি জরুরি হলেও তা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। যেমন, মুম্বই বা দিল্লি থেকে কলকাতায় সপ্তাহে তিনটি উড়ান চলে। অন্য শহর থেকে সেই নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে কেউ মুম্বই বা দিল্লি থেকে অন্য শহরে গিয়ে কলকাতায় আসছেন। তা হলে এই বিধিতে লাভ! রাজীবের প্রস্তাব, ২০১৯-২০ সালে ব্যবসার অঙ্কের প্রেক্ষিতে সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দিক কেন্দ্র। ওই বছর কর্মীদের বেতন খাতের ৭৫% এককালীন অনুদান হিসাবে দেওয়া হোক।