প্রতীকী ছবি
করোনা-সঙ্কটে বিপর্যস্ত পর্যটন ব্যবসা। বহু কর্মীর কাজ গিয়েছে। দীর্ঘ সময় তালা-বন্দি থাকার পরে আজ, সোমবার থেকে দরজা খোলার কথা হোটেলের। কিন্তু পর্যটন নিয়ে উদ্বেগ বহাল। প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, অনিশ্চয়তা যেখানে পৌঁছেছে, তাতে কবে বেড়াতে যেতে দেখা যাবে মানুষকে? একাংশ আগ্রহীদের খোঁজখবরের ফোন পেয়ে সুড়ঙ্গের শেষে ক্ষীণ হলেও আলো দেখছেন। মনে করছেন, অন্তত নিজের গাড়ি নিয়ে কেউ কেউ কাছেপিঠে যেতেও পারেন। আগামী বছর ভারতে আসার জন্য কিছু বিদেশি পর্যটকও খোঁজখবর শুরু করেছেন। তবে বাকিদের অভিমত, সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি না-হলে, ওই খোঁজেই আটকে থাকবে বাস্তব ছবিটা। ব্যবসা বহু দূরই।
হোটেল অ্যান্ড রেস্টর্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি সুদেশ পোদ্দার জানান, সতর্কতা বিধি মেনে হোটেল চালু হচ্ছে। অনেকে ব্যবসার কাজে যাওয়ার জন্য ঘর ভাড়া করছেন। পর্যটন শিল্পের অন্যতম সংগঠন এডিটিওআইয়ের কর্তা পি পি খন্নার দাবি, দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি অনেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যেও বেরোতে চাইবেন। কিছুটা হাঁফ ছাড়তে হয়তো। তাই জুনের শেষে বা জুলাইয়ে বেড়ানো নিয়ে অনেকে খোঁজ নিচ্ছেন। রাজস্থান, গোয়ার মতো কিছু রাজ্যে হোটেলগুলির বার্তা, তারা তৈরি। তাঁর ও এডিটিওআইয়ের রাজ্যের কর্তা দেবজিৎ দত্তের মতে, কাছাকাছি নিজের গাড়িতে যেতে পারেন অনেকে। তবে দেবজিতের দাবি, নিরিবিলিতে খুব কম পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, সুরক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে এমন জায়গাই আপাতত প্রাধান্য পাবে পর্যটকদের কাছে।
রাজ্যের মধ্যে গাড়িতে একাংশ ঘুরতে যেতে পারেন, বলছেন সংগঠন আইএটিও-র কর্তা প্রণব সরকারও। তবে তাঁর মতে, অনলাইন পর্যটন সংস্থা বা হোটেলের ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত অবশ্য ব্যবসা নিয়ে ততটা আশাবাদী নন ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সেক্রেটারি নীলাঞ্জন বসু। তাঁর প্রশ্ন, কারও গাড়ি মাঝে বাধা পেলে বা কোথাও স্থানীয়রা আপত্তি তুললে পর্যটকদের হয়রানি কী ভাবে ঠেকানো যাবে? তাই সার্বিক পরিকল্পনা জরুরি।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে একবছর পর্যন্ত ডিজনি+হটস্টার, প্রিপেড গ্রাহকদের জন্য নয়া অফার জিয়োর