Madhabi Puri Buch

সেবি কর্ণধার এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, এ বার লোকপালে নালিশ জানাল তৃণমূল

সেবি-র কর্ত্রী হয়েও আইসিআইসিআই থেকে আয় করা ও ব্যাঙ্কে কাজ করতে করতেই অন্য সংস্থায় যোগ, ওখহার্ডের শাখা থেকে ভাড়া বাবদ আয়েরও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩
Share:

মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।

আদানি কাণ্ডের সূত্রে নিয়ম ভঙ্গের একের পর এক অভিযোগে নাম জড়িয়েছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচের। এক মাস পরে এ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে লেখা বিবৃতিতে দাবি করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা
ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সত্যি নয়। তবে এ দিনই এই বিষয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে লোকপালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, লোকপালের উচিত ৩০ দিনের মধ্যে ইডি বা সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ পাঠিয়ে এফআইআর করে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। এই কাণ্ডে যুক্ত সব সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে, সব যোগাযোগ খতিয়ে দেখার কথাও বলেছেন তিনি।

Advertisement

তৃণমূলেরই অপর সাংসদ সাকেত গোখলের তোপ, ‘‘নিয়ন্ত্রক হিসেবে সেবি-র স্বায়ত্তশাসন বলে আর কিছু
নেই। তারা বিজেপি-র নির্দেশে কাজ করছে। যে কারণে লোকসভা নির্বাচনে বুথ ফের সমীক্ষার পরে শেয়ার দর বিপুল বাড়িয়ে এবং ফল ঘোষণার দিনে তার পতনের মাধ্যমে জালিয়াতির যে ‘অভিযোগ’ উঠেছে, তা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন মাধবী প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

মাধবীর বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিলে তাঁর লগ্নি ও নিজের সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে শেয়ার ধরে রাখার অভিযোগ রয়েছে। সেবি-র কর্ত্রী হয়েও আইসিআইসিআই থেকে আয় করা ও ব্যাঙ্কে কাজ করতে করতেই অন্য সংস্থায় যোগ, ওখহার্ডের শাখা থেকে ভাড়া বাবদ আয়েরও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর স্বামী ধবলের ব্ল্যাকস্টোনে যোগদানের সুযোগে সংস্থার সুবিধা পেয়েছে বলে কংগ্রেসের দাবি। তাদের বক্তব্য, মহিন্দ্রা গোষ্ঠীকে পরামর্শ দিয়েছে ধবল যখন আয় করছিলেন, তখন সেবি-র হয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা লড়ছিলেন মাধবী।

Advertisement

এই সব অভিযোগ ওঠার পরেও বুচ দম্পতি কেন চুপ, বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্ন তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। এ দিন তাঁদের দাবি, সব অভিযোগই মিথ্যা, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করা। মাধবী সেবি-তে যোগ দেওয়ার পরে আগোরা অ্যাডভাইজ়রি, মহিন্দ্রা-সহ
এই কাণ্ডে নাম জড়ানো কোনও সংস্থার ফাইল দেখেননি। যে সব সংস্থা ধবলকে নিযুক্ত করেছিল, তাদের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন। তাঁদের আরও দাবি, আইসিআইসিআই থেকে মাধবী যে অর্থ পেয়েছিলেন, তা এসেছিল কর্মী-শেয়ার (ইসপ) বেচে ও অ্যানুইটি প্রকল্প থেকে। সেই নিয়মে সেবি-র সায়
আছে। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা সৎ পেশাদার ও পেশাদারি জীবনে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলেছি।’’ অভিযোগের আইনি পথে মোকাবিলার ইঙ্গিতও দিয়েছেন বুচ দম্পতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement