ছবি: সংগৃহীত।
ব্রিটেনের একই নামধারী সংস্থা দেউলিয়া হলেও টমাস কুক ইন্ডিয়া আর্থিক ভাবে স্বস্তিদায়ক জায়গাতেই রয়েছে। সংস্থার কর্মী-সহ দেশের ভ্রমণপিপাসুদের আশ্বস্ত করে জানালেন ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ। এই সংস্থা দু’টি যে একই মালিকানাধীন নয়, তা-ও স্পষ্ট করলেন তাঁরা।
সোমবার একটি বিবৃতিতে টমাস কুক ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ব্রিটেনের সংস্থা টমাস কুক ইউকে এক সময় টমাস কুক ইন্ডিয়ার প্রোমোটার ছিল। তবে গত ২০১২ সালের অগস্ট থেকে টমাস কুক ইন্ডিয়ার ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় কানাডার সংস্থা ফায়ারফ্যাক্স ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস (ফায়ারফ্যাক্স)। সে সময় থেকেই টমাস কুক ইউকে-র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয় এই দেশীয় সংস্থাটির। পাশাপাশি, এ দিনের বিবৃতিতে এ-ও জানানো হয়েছে যে, টমাস কুক ইন্ডিয়ায় ব্রিটেনের ওই ভ্রমণ সংস্থার কোনও অংশীদারিত্ব নেই।
দীর্ঘ দিন ধরে ঋণের ভারে জর্জরিত ব্রিটেনের ওই ভ্রমণ সংস্থাটি এ দিন নিজেদের ‘দেউলিয়া’ ঘোষণা করে। ভারতীয় মুদ্রায় তাদের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। ভ্রমণপিপাসুরা তো বটেই, এতে বিপাকে পড়েছেন সংস্থার বহু কর্মী। প্রায় ২২ হাজার কর্মী কাজ হারাতে চলেছেন। তবে এই সঙ্কটের আঁচ যে এ দেশে পড়বে না, তা নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন টমাস কুক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া ভ্রমণ সংস্থা টমাস কুক, বিপাকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক, কর্মহীন বহু
আরও পড়ুন: কর তো কমল, এ বার চাহিদায় জোর চায় শিল্প
ভারতের পর্যটন শিল্প যাতে আশঙ্কায় না ভোগে, তা নিশ্চিত করতেই আসরে নেমেছেন টমাস কুক ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। তাঁরা স্পষ্টই জানিয়েছেন, দু’টি সংস্থার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এ কারণেই টমাস কুক ইন্ডিয়ায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না। সেই সঙ্গে টমাস কুক ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাধবন মেননের দাবি, ‘‘গত সাত বছর ধরে ব্যবসা খুবই ফলপ্রসূ হচ্ছে। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সংস্থা হিসাবে আমরা ক্রমশই উন্নতি করছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা স্পষ্টই জানাতে চাই, টমাস কুক ইন্ডিয়া আর্থিক ভাবে মজবুত জায়গায় রয়েছে, মুনাফার মুখ দেখছে।’’
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত টমাস কুক ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর ঘরে ১,৩৮৯ কোটির মূলধন রয়েছে। পাশাপাশি, তাদের উপর কোনও ঋণের বোঝাও নেই। ফলে ব্রিটেনের সংস্থাটি দেউলিয়া হলেও ভারতে সঙ্কটের কারণ নেই।