প্রতীকী ছবি।
ধাপে ধাপে ভর্তুকিতে পাওয়া সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কার্যত বন্ধই করে দিয়েছে মোদী সরকার। খোদ তেল মন্ত্রক জানিয়েছে, গত চার মাস ধরে তারা ওই ভর্তুকি দিচ্ছে না। তবে তাদের ব্যাখ্যা, এই সুবিধা তুলে দেওয়া হয়নি। আসলে দেওয়ার প্রয়োজনই পড়ছে না।
২০১৯ সালের অগস্ট থেকে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার ও ভর্তুকির অঙ্ক ঘোষণার পরে ধাপে ধাপে তা কমানোর অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কৌশল করে গত এক বছরে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম কেন্দ্র ১০০ টাকা বাড়ানোয়, তা প্রায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দামের কাছে পৌঁছেছে। উল্টো দিকে, এলপিজি-র দাম কমায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম আর তেমন বাড়েনি।
তেল মন্ত্রক জানিয়েছে, রান্নার গ্যাসের দু’রকম সিলিন্ডারের দাম প্রায় কাছাকাছি আসায় মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। সেপ্টেম্বরেও দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মে মাসে পশ্চিমবঙ্গেও পাঁচটি জায়গা ছাড়া অধিকাংশ অঞ্চলে ভর্তুকি মেলেনি। জুনের তুলনায় জুলাইতে সিলিন্ডারের দাম বাড়লেও, নামমাত্র (যেমন কলকাতায় ১৯.৫৭ টাকা) ভর্তুকি মিলেছিল। অগস্টেও মিলেছে নামমাত্রই।
মন্ত্রকের তথ্য, এই জুলাইয়ে গত বছরের তুলনায় ভর্তুকির সিলিন্ডারের দাম ৪৯৪.৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৯৪ হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোয় সরকারের প্রায় ২২ হাজার কোটি বাঁচবে। গত অর্থবর্ষে এই খাতে বেরিয়েছিল ২২,৬৩৫ কোটি। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে লেগেছে মাত্র ১৯০৫ কোটি। লকডাউনের পরে কেন্দ্র ৮ কোটি গরিব পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় নিখরচার সিলিন্ডারের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এখন প্রায় ১৮ কোটি পরিবার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে গ্যাসের দাম কমিয়ে মানুষকে সুরাহা দিচ্ছে না কেন!