—প্রতীকী চিত্র।
বিমানের তেল এটিএফের দাম শনিবার থেকে ৬.৫% কমল। জুন মাসে হোটেল-রেস্তরাঁর হেঁশেলে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (১৯ কেজি) সস্তা হল কিছুটা। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে তার সুবিধা গৃহস্থের হেঁশেল পর্যন্ত পৌঁছল না। ফলে জ্বালানি খাতের খরচে সুরাহা পেলেন না তাঁরা। বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) দাম অপরিবর্তিতই রাখল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কলকাতার বাজারে যা ৮২৯ টাকা। নয়াদিল্লিতে ৮০৩ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল আগের থেকে কিছুটা সস্তা হয়েছে বলেই শনিবার থেকে দেশে উৎপাদিত অশোধিত তেলের উপরে উইন্ডফল করও টন পিছু ৫৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫২০০ টাকা করেছে কেন্দ্র। ২০২২ সালের ১ জুলাই প্রথম বার এই কর বসানোর সময় সরকার জানিয়েছিল, অশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক দাম বাড়ার কারণে সেই জ্বালানির দেশীয় উৎপাদকেরা স্রেফ বাজারের সুবিধা নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা ঘরে তুলছে। সে জন্য বাড়তি কোনও কৌশল বা লগ্নি করতে হচ্ছে না। এই মাত্রাতিরিক্ত পড়ে পাওয়া লাভে রাশ টানতেই উইন্ডফল কর চাপানো হচ্ছে। ১৪ দিন পর পর যা ফিরে দেখা হয়। এ বার বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমায় সেই লাভ কমেছে। তাই তাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো করও ৫০০ টাকা কমানো হল।
বস্তুত, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামকে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিল ইরান-ইজ়রায়েল উত্তেজনার কারণে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পশ্চিম এশিয়া। যে অঞ্চল ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সংঘর্ষে বেশ কিছু দিন ধরেই অশান্ত। তবে মাস খানেক ধরে ফের কমছে তেলের আন্তর্জাতিক দর। শনিবার ব্রেন্ট ক্রুড ছিল ব্যারেল প্রতি ৮১ ডলার। আর এক অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই-ও নেমেছে প্রায় ৭৭ ডলারে। ভারত যে তেল কেনে (ক্রুড অয়েল ইন্ডিয়ান বাস্কেট), তার জন্য খরচ পড়ছে ৮৩.৫৪ ডলার (৩০ মে)।
এর আগে গত মাসেও এটিএফের দাম এক দফা কমেছিল। আর বাণিজ্যিক সিলিন্ডার এই নিয়ে কমল টানা তিন মাস। লোকসভা ভোটের মাস খানেক আগে বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছিল ২০০ টাকা আর ভোটের মুখে মার্চের মাঝামাঝি পেট্রল-ডিজ়েল লিটার পিছু কমানো হয় ২ টাকা করে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে সুবিধা পেতেই এমন সিদ্ধান্ত। বিশ্ব বাজারের দামের নিরিখে আমজনতাকে সুবিধা দেওয়ার হলে, তা কমানো যেত আরও আগেই এবং সুরাহার অঙ্কও
হত বেশি।