৩৪,৯০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত পেট্রোরসায়ন প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে দিয়েছে গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ফাইল ছবি।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে তোলা প্রতারণার অভিযোগের ধাক্কা সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বহুমুখী কৌশল নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এর মধ্যে যেমন আগাম ঋণ শোধ এবং আইনি পদক্ষেপ রয়েছে, তেমনই আছে সংস্থাগুলির হাতে আরও বেশি নগদ জমা রাখা। সূত্রের খবর, নগদের পরিস্থিতি পোক্ত করতেই এ বার গুজরাতের মুন্দ্রায় ৩৪,৯০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত পেট্রোরসায়ন প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে দিয়েছে গৌতম আদানির গোষ্ঠী।
হিন্ডেনবার্গ আদানিদের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি, হিসাবের খাতায় জালিয়াতি এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তোলার পরে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা ছিল, এর ফলে ভারতে তাদের লগ্নি প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। যা দেশে কর্মসংস্থানের কিছু সুযোগও কাড়বে। মুন্দ্রার প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হল বলেই মনে করছে একাংশ। এর আগে ৭০০০ কোটি টাকা খরচে রাজস্থানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অধিগ্রহণের পরিকল্পনাও বাতিল করেছে তারা। পিছিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ লেনদেন সংস্থা পিটিসির অংশীদারি কেনা থেকে।
২০২১-এ মুন্দ্রা পেট্রোকেম নামে শাখা সংস্থা গড়ে আদানি গোষ্ঠীর মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস। সেখানে পিভিসি উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল। তার জন্য কয়লা আমদানির কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া থেকে। শুরু হয়েছিল কারখানা তৈরির কাজও। সবই স্থগিত করা হয়েছে। গোষ্ঠীর এক মুখপাত্রের দাবি, তাঁদের সমস্ত সংস্থার হিসাবের খাতা পোক্ত। সম্পদ শক্তিশালী। ব্যবসা থেকে নগদের জোগানও ধারাবাহিক। আপাতত চালু করা প্রকল্পগুলি বৃদ্ধির দিকেই জোর দিতে চাইছেন তাঁরা।