প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের পর্যটন শিল্প। বিশেষ করে যে সব সংস্থা বিদেশি পর্যটকদের ভারত ভ্রমণের পরিষেবায় যুক্ত। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক উড়ান এবং ই-ভিসা চালুর আর্জি জানিয়েছিল ওই সংস্থাগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্স (আয়াটো)। কিন্তু বিমান মন্ত্রক ও এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই দুই পরিষেবাই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আয়াটো হতাশ।
সরকারের কাছে আয়াটোর প্রেসিডেন্ট রাজীব মেহরার আর্জি, যে সব বিদেশি পর্যটক প্রতিষেধক নিয়েছেন, শুধু তাঁদের জন্যই ই-ভিসা চালু করা হোক। ভারতে আসবেন কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যান্য দেশ যখন বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে, তখন ভারতের এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ঠিক নয়। বিশেষত যখন তা ক্ষতি করছে পর্যটন শিল্পের। যেখানে বহু মানুষের রুজি-রুটি জড়িয়ে। ঠিক একই ভাবে নিয়ম মেনে আন্তর্জাতিক উড়ান চালুর ব্যাপারেও সায় দেওয়ার পক্ষে আয়াটো। তাঁদের যুক্তি, ব্যবসা লাভজনক হবে কি না, তা উড়ান সংস্থাগুলিকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করতে দেওয়া হোক। রাজীবের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা নেই সংস্থাগুলির। অন্যান্য শিল্প সরকারের সাহায্য পেলেও বাঁচার লড়াইয়ে যুদ্ধ করতে থাকা পর্যটন শিল্প কোনও ত্রাণ পায়নি। তাই বিদেশি পর্যটকদের এ ভাবে নিয়ন্ত্রণের বদলে পর্যটন শিল্পের পাশে দাঁড়াক সরকার।
এর আগে শিল্প ক্ষেত্রকে রফতানি বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলেছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, মোদী সরকারের লক্ষ্য এ বছর দেশের রফতানি বাণিজ্যকে ৪০,০০০ কোটি ডলারে (প্রায় ২৯,৬০,০০০ কোটি টাকা) নিয়ে যাওয়া। সেই সূত্রে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেছিল আয়াটো। তাদের দাবি, বিদেশি পর্যটকেরা ভারত সফরে এলে রাজকোষে বিদেশি মুদ্রা আসে এবং দেশের লাভ হয়। তাই পর্যটনকে রফতানি ক্ষেত্রের মর্যাদা দেওয়া হোক। কারণ, বিদেশি পর্যটকদের ভারত ভ্রমণের বন্দোবস্ত করে দেশের জন্য বিদেশি মুদ্রা আয় করে সংস্থাগুলি। সে ক্ষেত্রে রফতানির ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট সুযোগগুলি পাবে তারাও। তার হাত ধরে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা মিলবে। সেই সময়েই গয়ালের কাছে ই-টুরিস্ট ভিসা-সহ বিভিন্ন আর্জিও জানিয়েছিল তারা।