—ফাইল চিত্র
অতিমারির সময়ে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান ভরসা টেলিকম পরিষেবা। তার উপরে অদূর ভবিষ্যতে ৫জি প্রযুক্তি নতুন সম্ভাবনা খুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ টেলি-শিল্পের কাঁধে যা আর্থিক বোঝা এবং ৫জি স্পেকট্রামের জন্য যে খরচ সরকার ধার্য করছে, তাতে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের টিকে থাকে নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে বলে দাবি এই শিল্পের। টেলি-সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই-এর আর্জি, এই বোঝা কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিক সরকার। কারণ, টেলিকম ক্ষেত্রের সেই প্রয়োজন এখন আরও বেশি। প্রসঙ্গত, টেলি শিল্পের জন্য বৃহস্পতিবারই উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত উৎসাহ ভাতা প্রকল্পের নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।
করোনার ধাক্কায় টেলিকম নির্ভর ডিজিটাল প্রযুক্তির চাহিদা বেড়েছে। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই কর ও অন্যান্য সরকারি ফি লাঘবের আর্জি জানিয়ে চলেছে সিওএআই। বিশেষ করে রিলায়্যান্স জিয়ো বাজারে এসে তীব্র মাসুল যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে।
এ বারে চর্চা ৫জি প্রযুক্তি নিয়ে। সিওএআইয়ের ডিজি এস পি কোছড়ের দাবি, প্রাথমিক প্রযুক্তির পরিষেবা দেবে টেলি-সংস্থা। সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে খুলবে নানান পরিষেবার বিস্তৃত জগত। বাড়তি আয় হবে সরকারেরও। তাই টেলি-ক্ষেত্রের উপরে সরকারের বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘‘টেলিকম ক্ষেত্রের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে রয়েছে। এখন যদি ৫জি নিলামের জন্য বিপুল অর্থ খরচ জোগাড় করা তাদের পক্ষে শক্ত। তাই কর, লেভি ও অন্যান্য বোঝা হ্রাসের মতো দীর্ঘ দিনের দাবিগুলির সমাধান এখনই করা হোক।’’