প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বক্তব্য, অশোধিত তেলের দরের সঙ্গে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামের ওঠাপড়ার সম্পর্ক নেই, প্রতীকী ছবি।
অশোধিত তেল নয়, ভারতে পেট্রল-ডিজ়েল এবং রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) দাম না কমার জন্য বিশ্ব বাজারে ওই তিন পণ্যের চড়া দরকেই দায়ী করলেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর দাবি, বিশ্ব বাজারে এলপিজি-র দাম কমলে ভারতেও তা সস্তায় বিক্রি হবে। আর তাঁর মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বক্তব্য, অশোধিত তেলের দরের সঙ্গে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামের ওঠাপড়ার সম্পর্ক নেই, বরং তা নির্ভর করে বিশ্ব বাজারে পেট্রল-ডিজ়েলের দামের উপরে।
দেশে গৃহস্থের হেঁশেলে ব্যবহারের এলপিজি ১০০০ টাকা ছাড়িয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পুরীর দাবি, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক দাম ৩৩০% বাড়লেও ভারতে এলপিজি-র দর সামান্য বেড়েছে। তাঁর আশ্বাস, সৌদির এলপিজি টন প্রতি ৭৫০ ডলার থেকে নামলে দেশেও গ্যাস সস্তা হবে।
অন্য দিকে, দীর্ঘ দিন ধরে দেশে তেলের দাম স্থির থাকলেও, তা এখনও সর্বকালীন উচ্চতার কাছাকাছি রয়েছে। কলকাতায় আইওসির পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজ়েল ১০৬.০৩ ও ৯২.৭৬ টাকা। গত বছর ৬ এপ্রিল দাম ওঠে সবচেয়ে উঁচুতে, যথাক্রমে ১১৫.১২ এবং ৯৯.৮৩ টাকায়। কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক ছাঁটায় ২২ মে সামান্য কমার পর থেকে দর থমকে।
তৃণমূল সাংসদ দেব তেল মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, গত মে মাসের ১০৯.৫১ ডলার (ব্যারেলে) থেকে কমে অশোধিত তেল এ বছরের জানুয়ারিতে ৭৮.১৮ ডলারে নেমেছিল কি? লিখিত জবাবে তেলি বলেন, তা কমে হয়েছে ৮০.৯২ ডলার। গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৮৪.৭৬ ডলার। তবে তাঁর দাবি, অশোধিত তেলের সঙ্গে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামের সম্পর্ক নেই। গত বছরের জানুয়ারি থেকে গত মাসে বিশ্ব বাজারে পেট্রল সামান্য কমেছে, ৯৬.১৬ থেকে হয়েছে ৯৫.৫৯ ডলার। ডিজ়েলের দাম বেড়েছে, ৯৭.০৯ থেকে ১১১.২২ ডলার। তবে ভারতে তেল সংস্থাগুলি ৬ এপ্রিল থেকে দাম বাড়ায়নি। ২০২১-২২ সালের চেয়ে ২০২২-২৩ সালের প্রথম ছ’মাসে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার কর পূর্ববর্তী মুনাফাই কমেছে।
আমদানি খরচ কমায় তেল সংস্থাগুলি পেট্রল ও ডিজ়েলের মূল দাম কমিয়েছিল কি না, দেবের এই প্রশ্নের জবাবে তেলি কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক দু’বার ছাঁটার কথা জানান। যদিও সংশ্লিষ্ট মহল এর আগেও বলেছে, মূল দাম কমলে পাম্পে তেল অনেক বেশি হারে কমে। কারণ তাতেই বসে উৎপাদন শুল্ক-সহ বিভিন্ন কর।