—প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্কে লকার রাখার সংশোধিত চুক্তি সম্পন্ন করার শেষ তারিখ আগামী কাল, ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু কাল রবিবার হওয়ায় কার্যত আজই সই-সাবুদ সমেত সেই কাজ সেরে লকার রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত করার শেষ দিন। ১ জানুয়ারি ব্যাঙ্কগুলিতে এনআই অ্যাক্টে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আগের নির্দেশ অনুযায়ী ওই দিন থেকে লকার ভাড়ার জন্য গ্রাহকের সঙ্গে প্রতিটি ব্যাঙ্কের নতুন চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির নির্দেশ সত্ত্বেও যে সমস্ত গ্রাহক এখনও নতুন করে ওই চুক্তি করে উঠতে পারেননি, তাঁদের কী হবে? লকার কী বন্ধ হয়ে যাবে?
সূত্রের খবর কিছু ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, যাঁরা শনিবারের মধ্যে ওই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারবেন না, তাঁরা উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে সংশোধিত চুক্তির সুযোগ পরেও দেওয়া হবে। তবে স্টেট ব্যাঙ্ক বেঙ্গল সার্কল কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের পরেও চুক্তি সই করা যাবে না, এমনটা নয়। তাঁদের বক্তব্য, লকারের জন্য সংশোধিত চুক্তি সই করা বাধ্যতামূলক। তা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলার কথা। ব্যাঙ্কের তরফে গ্রাহককে এসএমএস বা কল করে তাই নিয়মিত তাড়া দেওয়া হয়েছে। অনেকে তা করেছেন। কিন্তু চুক্তি করার সময়সীমা পেরোলে গ্রাহককে লকার ব্যবহার নিয়ে সমস্যার সামনে পড়তে হবে কি না, তা নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বা স্টেট ব্যাঙ্কের সদর দফতর থেকে এখনও নির্দেশ পাননি।
ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরও দাবি, কোনও কারণে গ্রাহক ঘোষিত শেষ তারিখের মধ্যে চুক্তি সারতে না পারলে তাঁদের কাছে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে চিঠি যাবে। যদিও সংশ্লিষ্ট গ্রাহক যে লকার ব্যবহার পারবেন না, তা নয়।
গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের লকার ভাড়ার চুক্তি সংশোধনের সময়সীমা বেড়ে শেষ বার ৩১ ডিসেম্বর হয়েছে। নতুন গ্রাহকের লকারের ক্ষেত্রেও ওই সংশোধিত চুক্তিই প্রযোজ্য হবে। যেখানে বেশ কিছু শর্ত বদলেছে ও যোগ হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এ জন্য ব্যাঙ্কে হাজির হয়ে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে সংশোধিত চুক্তির বয়ান লিখে তাতে সই করতে হবে গ্রাহককে। সঙ্গে দিতে হবে প্যান, আধার-সহ কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথির কপি এবং দু’টি ছবি। সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, অনেক ব্যাঙ্কই নন-জুডিশায়াল স্ট্যাম্প পেপারের উপর চুক্তির বয়ান লিখে রেখেছে। গ্রাহককে শুধু নির্দিষ্ট জায়গায় সই করে কেওয়াইসি নথি এবং ছবি জমা দিতে হবে। কিছু ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তারা চুক্তির বয়ান সংক্রান্ত ফর্ম এবং স্ট্যাম্প পেপার সরবরাহ করছে। তবে সব ক্ষেত্রেই স্ট্যাম্প পেপারের খরচ বহন করতে হবে গ্রাহককে। স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, তারা স্ট্যাম্প পেপার ও চুক্তির ফর্ম সরবরাহ করছে। আবার ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এক কর্তা জানান, তাঁরা স্ট্যাম্প পেপারের উপরেই চুক্তির বয়ান ছাপিয়ে রেখেছেন।