প্রতীকী ছবি।
কাঁচা পাটের আগুন দাম। আর তা নিয়েই চড়ছে বিতর্ক। এক দিকে চটকল মালিকদের অভিযোগ, বেআইনি মজুতের জেরে পাটের দাম বাড়ছে। ব্যাহত হচ্ছে চটের বস্তা তৈরি। চোট খাচ্ছে ব্যবসা। অন্য দিকে পাট ব্যবসায়ীদের দাবি, চলতি মরসুমে পাটের উৎপাদনই কম হয়েছে। তার উপরে গত ক’বছরের তুলনায় এ বার ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে বলে চাষিরা সব পাট বিক্রিও করছেন না। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যের চটশিল্পে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, সমস্যার সমাধানে ফের রাজ্যের হস্তক্ষেপের দাবি জানানোর পাশাপাশি মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রকে চিঠি দিয়েছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ।
পাটের দাম কুইন্টালে ৬০০০ টাকা ছাড়ানোয় জোগান বাড়াতে কাঁচা পাট মজুতের পরিমাণ ১৫০০ কুইন্টাল থেকে কমিয়ে ৫০০ করার নির্দেশ জারি করেছে জুট কমিশনারের অফিস। যা নিয়ে আপত্তি তুলে ২৩ নভেম্বর থেকে পাট কেনাবেচা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাট ব্যবসায়ীদের সংগঠন জুট বেলার্স অ্যাসোসিসেশন (জেবিএ)।
সংগঠনের একাংশের দাবি, এত কম পাট কিনে ব্যবসা চালানো কঠিন। এতে চাষিরাও ভাল দাম পাবেন না। চটকল মালিকদের একাংশের দাবি, জেলা স্তরে ১৮-২০ লক্ষ বেল (এক বেল=১৮০ কেজি) পাট গুদামে মজুত।
অথচ চটকলগুলিকে চাহিদা মতো বেচা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের পাল্টা যুক্তি, পাটের অভাবে রাজ্যে উৎপাদন তো বন্ধ হয়নি! তবে কেন্দ্রের বস্তার বরাত মেটানো নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।