—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংস্থা, সমবায় এবং পুরসভা ঋণ নিলে ব্যাঙ্ককে (কিংবা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান) তাদের হয়ে গ্যারান্টি দেয় রাজ্য সরকার। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার হিসাব, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই গ্যারান্টির অঙ্ক ৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯.৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ১৭টি বড় রাজ্যকে নিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। উত্তর-পূর্ব ভারত, পাহাড়ি রাজ্য এবং গোয়াকে এর থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
২০২২ সালের জুলাইয়ে রাজ্যের অর্থসচিবদের ৩২তম সম্মেলনে এই গ্যারান্টির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কিছুটা আঁটোসাঁটো করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। তার ভিত্তিতে সে মাসেই কার্যকরী গোষ্ঠী তৈরি করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ১৬ জানুয়ারি তার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়, রাজ্যগুলির গ্যারান্টির পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই অবস্থায় সংস্থা, সমবায় এবং পুরসভাগুলির থেকে ন্যূনতম ‘গ্যারান্টি ফি’ নেওয়া উচিত রাজ্যগুলির। তাতে ঋণগ্রহীতাদের দায়বদ্ধতাও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শর্তসাপেক্ষ হলেও ঋণের গ্যারান্টি সব সময়েই রাজ্যের পক্ষে ঝুঁকির। কারণ, কোনও বিরূপ পরিস্থিতিতে ওই ঋণের বড় অংশ তাদের কাঁধে চাপতে পারে। যা রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকির।
এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে কিছু নির্দেশিকা তৈরি করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। পোক্ত করেছে নিয়ম। অধিকাংশ রাজ্য তা এখনও কার্যকর করেনি। সেখানে বলা হয়েছে, গ্যারান্টির অঙ্ক মোট ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি হওয়া ঠিক নয়। রাজ্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই ধরনের ঋণ যেন ঘুরপথে রাজ্যের পুঁজি সংগ্রহের পথ হয়ে না দাঁড়ায়।