—প্রতীকী চিত্র।
পেটিএম পেমেন্টস সার্ভিসেসে (পিপিএসএল) চিন থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা শুরু করল সরকার। সূত্রের খবর, একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি বিষয়টির পর্যালোচনা করছে। তাদের রিপোর্টের উপরে পেটিএমের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে অনেকটাই। পেটিএমে চিনের লগ্নি ঘিরে মোদী সরকারের উদ্দেশে অনেক দিন ধরেই তোপ দেগে আসছে বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হল সরকার।
পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন্স অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে তাদের দাবি, ব্যাঙ্কগুলি পাশে আছে। আর্থিক লেনদেন পরিষেবায় সমস্যা হবে না। নিয়ন্ত্রণবিধি লঙ্ঘনের জন্য গত মাসে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন্সের একটি শাখা সংস্থা পিপিএসএল। তারা আর্থিক লেনদেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২০ সালের নভেম্বরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে লাইসেন্সের আবেদন জানায় সংস্থাটি। কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বরে সেই আবেদন নাকচ করে দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এফডিআই বিধির ৩ নম্বর ধারায় বিদেশি লগ্নি সবিস্তার তথ্য-সহ নতুন আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেয় তারা। অতিমারির সময়ে তৈরি ওই বিধিতে বলা হয়েছে, ভারতের স্থলসীমান্তের সঙ্গে যুক্ত কোনও দেশ থেকে লগ্নি নিতে গেলে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে। ওই সমস্ত দেশের কোনও সংস্থার ভারতীয় সংস্থায় লগ্নিতে নজরদারি চালানোই লক্ষ্য। ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন্সে এখনও চিনের অ্যান্ট গোষ্ঠীর লগ্নি রয়েছে।