২০২০-র নভেম্বরে শেষ বার রফতানি বাণিজ্য সঙ্কুচিত হয় (৮.৭৪%)। ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামিয়ে একটু স্বস্তি দিলেও, অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল দেশের রফতানি। দু’বছর পরে গত অক্টোবরে ফের সরাসরি কমে গেল তার পরিমাণ। অথচ বাড়ল আমদানির অঙ্ক। ফলে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়ল দেশ। এর আগে ২০২০-র নভেম্বরে শেষ বার রফতানি বাণিজ্য সঙ্কুচিত হয় (৮.৭৪%)। তখন দেশ কোভিডের কবলে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে ভারতের রফতানি ১৬.৬৫% কমে হয়েছে ২৯৭৮ কোটি ডলার। বিশ্ব বাজারে চাহিদা শ্লথ হওয়াই যার প্রধান কারণ। অথচ মূলত অশোধিত তেল এবং তুলো, সার ও যন্ত্রাংশের কারণে আমদানি ৬% বেড়ে হয়েছে ৫৬৬৯ কোটি। যা বাণিজ্য ঘাটতিকে ঠেলে তুলেছে ২৬৯১ কোটি ডলারে।
বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়ালের দাবি, বিশ্ব বাজারের সঙ্কট সর্বত্র বিক্রিবাটা কমিয়েছে। বাদ যায়নি ভারতের রফতানি বাণিজ্যও। তাঁর দাবি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) পূর্বাভাস দিয়েছিল, এ বছর (২০২২) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩.৫%। পরের বছর হবে মাত্র ১%। কিন্তু আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যে ভারতের ভাগ মাত্র ১.৮%, পরিষেবায় ৪%। ফলে অংশীদারি বাড়ানোর বিরাট সুযোগ রয়েছে দেশের সামনে। তাঁর বার্তা, ‘‘ডব্লিউটিও-র পূর্বাভাসে আমাদের হতাশ হওয়া উচিত নয়। কারণ চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে আমেরিকা এবং ইউরোপে লাগাতার সুদ বৃদ্ধি বিশ্ব জুড়ে চাহিদা কমাচ্ছে।’’
ভারতীয় রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো-ও বলছে, বাড়তে থাকা মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশের বিপুল মজুত, একাধিক দেশে মন্দার আশঙ্কা, ডলারের সাপেক্ষে সর্বত্র স্থানীয় মুদ্রার পতন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা চাহিদাকে শ্লথ করেছে। কঠিন হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিবেশ। এরই প্রতিফলন ভারতের শ্লথ রফতানি বাণিজ্যে।