ESI Scheme

ইএসআই প্রকল্পের আওতায় পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও

এ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলতে ইএসআই কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ০৫:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরসভার চুক্তিভিত্তিক এবং ক্যাজ়ুয়াল কর্মীদেরও এ বার কর্মী রাজ্য বিমা প্রকল্পের (ইএসআই) আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এ জন্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের সমস্ত সুবিধাই পাবেন ওই সব কর্মী। যার মধ্যে নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া ছাড়াও রয়েছে দুর্ঘটনা জনিত ক্ষতিপূরণ, কর্মরত অবস্থায় কর্মী মারা গেলে তাঁর পরিবারের পেনশন-সহ আরও একগুচ্ছ সুবিধা। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের সায় পেলে তবেই ঘোষণা কার্যকর করা সম্ভব। তাই এ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলতে ইএসআই কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

সমস্ত পুরসভাই স্থানীয় প্রশাসনের (লোকাল সেল্ফ গভর্নমেন্ট) অধীনে কাজ করে। তাদের স্থায়ী কর্মীরা ইএসআই-এর সুবিধা পান। কিন্তু ক্যাজ়ুয়াল ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা নয়। তবে ঠিকাকর্মীরা ওই সুবিধা পান। তাঁদের হয়ে এই প্রকল্পে নিয়োগকারীর দেয় টাকাও ঠিকাদার সংস্থাই মেটায়। ইএসআই সূত্রের খবর, বেশ কিছু রাজ্য ওই ক্যাজ়ুয়াল এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ইএসআই প্রকল্পের আওতায় আনতে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়ে রেখেছিল। তা মেনেই এই ঘোষণা।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে এ দিন স্বাগত জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। টিইউসিসি-র সাধারণ সম্পাদক এবং ইএসআই-এর স্থায়ী কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধি সদস্য এস পি তিওয়ারি জানান, ‘‘দেশের ছ’টি রাজ্য ইতিমধ্যেই এ ধরনের প্রস্তাব এলে তাতে সায় দেবে বলে কেন্দ্রকে জানিয়েছে। আশা করব, সমস্ত রাজ্যই অনুমোদন দেবে।’’

Advertisement

ইএসআই পরিচালন পর্ষদের কর্মী প্রতিনিধি সদস্য সিটুর প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী এবং ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘পুরসভার স্থায়ী কর্মীরা ইএসআই-এর আওতায় থাকলেও ক্যাজ়ুয়াল এবং সরাসরি চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীরা এর সুবিধা পান না। তাঁরাও প্রকল্পে এলে সামাজিক সুরক্ষা বাড়বে।’’ তবে তাঁদের কথায়, প্রকল্পটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। কারণ, কেন্দ্র ওই ঘোষণা করলেও, ইএসআই-এ ওই কর্মীদের জন্য নিয়োগকারীর দেয় টাকা মেটাতে হবে রাজ্যগুলিকেই। সেই সঙ্গে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদেরও এই প্রকল্পে আনা জরুরি বলে জানিয়েছেন অশোকবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement